বিদেশি দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়ে, রামদেবের পতঞ্জলি এখন বিদেশি কোম্পানির সাথেই করতে চলেছে বিজনেস !

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় বাজারে বাবা রামদেবের স্বদেশি ব্র্যান্ড পতঞ্জলি বেশ রমরমা বাজার দখল করেছিল। এফএমসিজি বাজারে একাধিপত্য স্থাপন করেছিল। হিন্দুস্থান ইউনিলিভার স্বদেশি জিনিসপত্র গুলির ব্যবহারের জন্য বিশেষ জোর দিয়েছিল। বিশেষ করে কয়েক বছর আগে যেভাবে পতঞ্জলির বিভিন্ন প্রডাক্ট বিক্রি হয়েছে এবং চাহিদা বেড়েছে তাতে এক সময় বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি গুলিকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে 2025 সালের মধ্যে পতঞ্জলি বিশ্বের বৃহত্তম এফএমসিজি ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে বলে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন রামদেব।Ad for Patanjali 380

কিন্তু ক্রমশই সময় যত এগোচ্ছে ততই বাজার ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে । বিভিন্ন কারণে যেমন সংস্কারের অভাব, সাধারণ বাণিজ্য জনিত সমস্যা এবং আয়ুর্বেদীয় শংসাপত্রের হ্রাস প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কার্যত পিছিয়ে পড়েছে। তাই এক সময় যে পতঞ্জলি বিদেশি দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল এবার সেই পতন জোরেই বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করতে হাত মিলিয়েছে। সম্প্রতি ব্র্যান্ড এই বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে বসেছে।

   

টিয়ার রেটিং লিমিটেড পতঞ্জলির দীর্ঘায়িত ব্যাংক ফেসিলিটি A+ দেখেই আরও নিম্ন মানে নেমে পড়েছে। তাই এবার বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলির সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য নতুন চুরি কার্যত উঠে পড়ে লেগেছে। সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ আচার্য বালকৃষ্ণ সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বিভিন্ন বিশ্বব্যাপী সংস্থা পতঞ্জলির সঙ্গে তিন চারটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তাই যদি সংস্থার মূল্যবোধের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটা সম্ভব হয় সে ক্ষেত্রে বহুজাতিক কোম্পানিগুলির সঙ্গে ব্যবসা করতে সমর্থ তারা

এমনকি এই প্রস্তাব গুলিকে প্রত্যাখ্যান করেননি বলেও জানিয়েছেন। যদিও সেই সমস্ত বহুজাতিক সংস্থার নাম প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। তবে যে ভাবে এক সময় পতঞ্জলি দেশীয় জিনিসপত্রের ব্যবহারের ওপর ডাক দিয়েছিলেন তাঁরাই বিদেশি অন্যের সঙ্গে ব্যবসা করতে উদ্যত হয়েছে, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের বাজারে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর