বেহাল দশা রাস্তার! সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে পথেই মৃত্যু গৃহবধূর, পটাশপুরের ঘটনার দায় স্বীকার তৃণমূলের

Published on:

Published on:

Pataspur housewife dies on the way to hospital after not being able to reach on time

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মর্মান্তিক ঘটনা। হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে রাস্তায় মৃত্যু হল এক গৃহবধুর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে (Pataspur)। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

কাদায় আটকে গেল চাকা, রাস্তাই প্রাণ কাড়ল গৃহবধূর শোকের ছায়া পরিবারে (Pataspur)

বর্ষায় কর্দমাক্ত অবস্থায় অসুস্থ মহিলাকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পারায় রাস্তায় প্রাণ হারান এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতের নাম বাসন্তী বেরা। বয়স – ৩৮‌। সূত্রের খবর, রবিবার বিকালে বাসন্তী আচমকা ওই গ্রামের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে টোটোতে করে ওই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাস্তার বেহাল দশার মাঝেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন সারাইয়ের দাবি তুলেও কোনও কাজ হয়নি। এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ ছুড়েছে বিজেপি। যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদল তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

Pataspur housewife dies on the way to hospital after not being able to reach on time

আরও পড়ুন: শেফ সঞ্জীব কাপুর স্পেশাল রেসিপি! বাড়িতে থাকা এই উপকরন দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ৩ টি ‘হাই প্রোটিন’ ডিস

জানা যায়, পটাশপুর ১ ব্লকের সুকেশ্বর থেকে অমরপুর, অমরপুর থেকে রাজ্য সড়কে যেতে ৬কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। রাস্তার অবস্থা এতটাই অচল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে পথ চলা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের। স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেন, অর্থ বরাদ্দের পরও গ্রামীন সড়কের পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়নি। এর ফলে কয়েকদিন আগেই রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতে সেরকম কোনো শুরাহা মেলেনি।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামবাসী জানান, আমরা খবর পেয়েছি, টাকা চারদিক থেকে আসছে। সেই টাকাগুলো পকেটে ভরা হচ্ছে। কিন্তু এলাকার কাজের লাগানো হচ্ছে না। পাশাপাশি এই ঘটনা পরিপেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ সদস্য মৃণালদাস জানান, ১২ কিলোমিটার রাস্তা হয়ে গিয়েছে। বাকি ৬ কিমি রাস্তা পিচ হবে না ঢালাই, এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে মতানৈক্য থাকায় দেরী হচ্ছে। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সমাধান করা হবে।