বলা হয়, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। গীতার (gita) প্রতি অগাধ সেই বিশ্বাসই নতুন জীবনে ফিরে যেতে সাহায্য করল। মস্তিষ্কে জটিল অপারেশনের সময় একটানা শঙ্কাহীন তার গীতার শ্লোক উচ্চারণ মুগ্ধ করল চিকিৎসকদের।
মস্তিষ্কের জটিল অপারেশন, জেগে থাকতে হবে রোগীকে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই অপারেশন টেবিলে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়েন। কিন্তু আমেদাবাদের এই মহিলা গীতার ওপর বিশ্বাস রেখে পুরোপুরি শঙ্কাহীন থেকে গেলেন গোটা সময়টা। ১ ঘন্টা ১৫ মিনিটের সেই গোটা অস্ত্রোপচারের এক ঘন্টাই শ্লোক আউড়ে গেলেন তিনি। অস্ত্রোপচারও সফল হল। দিন তিনেকের মধ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িও চলে গিয়েছেন।
ভরতভাই জানিয়েছেন, পারম্পারিক ভাবেই তাদের পরিবারে গীতা পাঠের চল রয়েছে। তিনি নিজেও যতবার চাপ অনুভব করেছেন ততবারই দ্বারস্থ হয়েছেন শ্রীমদ্ভাগবতগীতার। অপারেশন টেবিলে নার্ভ শক্ত রাখার প্রয়োজন ছিল। তাই তিনি গীতার শ্লোকের উচ্চারণ করেছেন। পাশাপাশি, তার চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই গীতার শ্লোক তাদেরও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
এর আগে, জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে অপারেশন টেবিলে ভায়োলিন বাজিয়েছিলেন এক মহিলা। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ক্রিটিক্যাল ব্রেন সার্জারি চলছিল ৫৩ বছরের ডাগমার টার্নারের। যাতে ছিল মৃত্যুর সম্ভাবনাও। একই সাথে ছিল অপারেশনের ভীতি, অপারেশন চলাকালীন শারীরিক অসুবিধাও। কিন্তু সেসব দুশ্চিন্তা ছাপিয়েও তাকে গ্রাস করেছিল দীর্ঘ চল্লিশ বছরের ভায়োলিন বাজানোটা যেন না ভুলে যান। কোনো কারনে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যায় তবে সে আর ভায়োলিন বাজাতে পারবে না।
ডাগমার টার্নারের মাথাযর ডানদিকে মস্তিষ্কের সামনের অংশে একটি টিউমার ধরা পড়ে। এটি মস্তিষ্কের এমন একটি অঞ্চল যা আমাদের মোটর ফাংশন এবং গতিবিধি ঘনিষ্ঠভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই অপারেশন টেবিলেই সার্জারি চলাকালীন তাঁকে ভায়োলিন বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়।