বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাত্র কিছুদিন আগেই বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার (payel sarkar)। এতদিন শুধুমাত্র অভিনয় জগতে সীমাবদ্ধ থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার রাজনীতির মঞ্চে পা রেখেছেন তিনি। আর বিজেপিতে যোগ দিতে না দিতেই পরোক্ষ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) খোঁচা মেরেছেন পায়েল।
সম্প্রতি পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ই স্কুটারে চেপে নবান্নে যান তিনি।ফেরার সময় নিজেই বসেন স্কুটারের চালকের আসনে। কিন্তু অনভ্যস্ত হাতে বেশ কয়েবার টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে যেতেও বাঁচেন।
সেই দৃশ্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এবার সদ্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া পায়েলও পরোক্ষে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীর স্কুটার অভিযানের দিনই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ছবি শেয়ার করেন পায়েল। নিজের স্কুটি চালানোর একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, ‘বাংলার মেয়েরা স্কুটি চালাতে পারে।’ সেই সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আত্মনির্ভর ভারত’।
এভাবে কি পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই খোঁচা দিলেন পায়েল? অভিনেত্রীর উত্তর, ব্যাপারটা কাকতালীয়। তাঁর মনে হয়েছে বাংলার মেয়েরা এখন স্কুটি চালিয়ে অফিস কলেজ যায়। তাঁর নিজের ছবি ছিল বলে দিয়েছেন। তাতে কেউ অন্য অর্থ করার হলে করবেন। তিনি এমনিই দিয়েছেন।
বাংলার মেয়েরা স্কুটি চালাতে পারে | #AatmanirbharBharat pic.twitter.com/SmA7hwsl9i
— Paayel Sarkar (@Paayel_12353) February 25, 2021
রাজনীতিতে একেবারে নতুন হওয়া সত্ত্বেও বিজেপিতে এসেই প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন পায়েল। হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী দফতরে যোগদানের পরেই পায়েলকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা অবশ্যই রয়েছে। তবে পরক্ষণেই একটু সামলে বলেন, এ বিষয়ে এখনো ভাবেননি। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
এদিন পায়েল বলেন, বাংলার সব স্তরের মানুষ চায় বাংলার পুরনো ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি আবার ফিরে আসুক। আমরা যাতে সকলে ভাল ভাবে থাকতে পারি। আরো সুন্দর জীবনযাপন করতে পারি সেই স্বপ্নটাই দেখিয়েছে বিজেপি। আর তার জন্য ইতিমধ্যেই কাজও শুরু করে দিয়েছেন তারা।
তবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর অভিনয় কেরিয়ার কি কোনো ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না? অভিনেত্রীর কথায়, সিনেমা মানুষকে বিনোদন দেওয়ার একটা মাধ্যম। আর রাজনীতি মানুষের জন্য কাজ করার। দুটো আলাদা মাধ্যম, দুটোর মধ্যে কোনো সংঘাত নেই।
পায়েল বলেন, “যেহেতু আমার আগে থেকেই একটা পরিচিতি আছে। মানুষের ভালবাসা আশীর্বাদ আমি পেয়েছি। আমার উচিত এই মুহূর্তে সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার। মানুষ যদি ভাল থাকেন মানুষের জন্য যদি কাজ করতে পারি আমি খুব খুশি হব।”
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা