বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ সরকারি পেনশনভোগীকে নিজের জীবিত থাকার প্রমাণ জমা দিতে হয়। আগে এই প্রক্রিয়াটি ছিল সময়সাপেক্ষ ও জটিল। ব্যাঙ্ক বা পোষ্ট অফিসে গিয়ে সার্টিফিকেট জমা দেওয়াই ছিল একমাত্র উপায়। এর জন্য বারবার ঘুরতে হতো গ্রাহকদের। তবে এবার সেই ঝামেলা অনেকটাই কমেছে। এখন জীবন শংসাপত্র অর্থাৎ লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য একটি ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে এবার থেকে গ্রাহকরা বাড়িতে বসেই কয়েক মিনিটে অনলাইনে নিজের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন (Digital Life Certificate)।
বাড়িতে বসেই পেনশন আপডেট
কেন্দ্র ও রাজ্য, উভয় সরকারেরই পেনশনভোগীদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এটি অনলাইন বা অফলাইন, দুইভাবেই দেওয়া যেতে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে পেনশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পেনশনভোগীদের সুবিধার্থে এই জীবন শংসাপত্র জমা দেওয়ার জন্য একাধিক অনলাইন বিকল্প চালু করেছে সরকার (Digital Life Certificate)। আসুন জেনে নিন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে জীবন শংসাপত্র জমা দেবেন এবং কারা কারা এই সুবিধা পাবেন।
কারা পাবেন না এই সুবিধা?
জানিয়ে রাখি, সকলের জন্য এই ডিজিটাল সুবিধাটি (Digital Life Certificate) প্রযোজ্য নয়। পুনর্বিবাহিত বা পুনরায় নিয়োগপ্রাপ্ত পেনশনভোগীরা এই সুবিধাটি পাবেন না। তাঁদের পুরনো পদ্ধতিতেই পেনশন বিতরণ কর্তৃপক্ষের (PDA) কাছে সরাসরি লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। জীবন প্রমাণ পোর্টালের সরকারি নির্দেশিকায় এই নিয়মটি স্পষ্টভাবে বলা আছে।
জীবন প্রমাণ কীভাবে কাজ করে?
‘জীবন প্রমাণ’ হল আসলে আধার-নির্ভর বায়োমেট্রিক ডিজিটাল সার্টিফিকেট, যা পেনশনভোগীর আধার নম্বর এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (আইরিস বা আঙুলের ছাপ) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে কোনও ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে না গিয়েই সার্টিফিকেট তৈরি করা যায় এবং তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট পেনশন বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যায়।
আগে পেনশনভোগীদের নথি জমা দিতে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে যেতে হত। এখন সবকিছু অনলাইনে সম্পন্ন হয়। প্রতিটি সার্টিফিকেটের একটি অনন্য আইডি নম্বর তৈরি হয়, যা ডিজিটালভাবে সংরক্ষিত থাকে।

ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (Digital Life Certificate) তৈরি করতে কী কী তথ্য প্রয়োজনীয় তথ্য?
লাইফ সার্টিফিকেট তৈরির জন্য প্রয়োজন বিশেষ কিছু তথ্য। সেগুলি হল –
- নাম
- আধার নম্বর
- মোবাইল নম্বর
- পেনশন সম্পর্কিত তথ্য (পিপিও নম্বর, ব্যাঙ্কের বিবরণ, পেনশন অ্যাকাউন্ট নম্বর, পেনশন অনুমোদন কর্তৃপক্ষের নাম ইত্যাদি)
- বায়োমেট্রিক তথ্য (আইরিস বা আঙুলের ছাপ)
সব তথ্য সঠিকভাবে জমা পড়লে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (Digital Life Certificate) তৈরি হয়ে যায়।













