বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের CAA-র বিরোধিতায় ফেব্রুয়ারি থেকে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গোটা রাজ্যে মিটিং মিছিল করে এই আইনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, কেন্দ্রের কথা মতো অনুপ্রবেশকারী বলে কাউকে মানতে নারাজ ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেকে ভারতের নাগরিক (Citizens of India)। কাউকে কাগজ দেখানোর দরকার নেই।
কিন্তু, শুক্রবার তিনি বলেন, ‘২৪ পরগনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এখনো লোক ঢুকছে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।’মাস দুয়েক আগেও অনুপ্রবেশকারী বলে কাউকে মানতে রাজি ছিলেন না তিনি। ‘আমরা সবাই নাগরিক’ স্লোগান তুলে তোলপাড় ফেলেছিলেন রাজপথে। করোনার কামড়ে সেই মমতার মুখেই শোনা গেল অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে আশঙ্কার কথা। শুক্রবার নবান্নে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে তিনি বললেন, ২৪ পরগনায় সীমান্তের ওপার থেকে লোক ঢুকছে। শুক্রবার শোনা গেল অনুপ্রবেশ নিয়ে আশঙ্কার কথা। এদিন তিনি বলেন, ‘২৪ পরগনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এখনো লোক ঢুকছে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।’
প্রতিক্রিয়ায় বিএসএফ-এর বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের (Bengal Frontier)এক মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ।’ বলে রাখি, লকডাউন শুরু হতেই দেশের সমস্ত সীমান্ত সিল করেছে ভারত সরকার। দেশের সমস্ত স্থলবন্দরে মানুষের পারাপার নিষিদ্ধ হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অবশ্য গত কয়েক মাস ধরে উলটো খবর মিলেছে। সেখানকার একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, CAA ও করোনার জেরে ভারত থেকে বাংলাদেশে লোক ঢোকার পরিমাণ লক্ষ্যণীয় ভাবে বেড়েছে। এই তথ্য যদিও লকডাউন(lockdown) শুরুর আগের।