‘আমি পরে খাবার খাব …’ দিনরাত অক্সিজেন প্লান্টে কাজ করা কর্মীদের কুর্নিশ যানাচ্ছে গোটা দেশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের (Corona) দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতি। দিনে দিনে রেকর্ড হারে মানুষজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। তবে এমন ভয়ঙ্কর ভাবে সংক্রমণের ঊর্ধগতিতে লাগাম টানতে বাঁধ সেধেছে বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশের সর্বত্র অক্সিজেনের আকাল এবং হাসপাতালে শয্যার অভাব। এমন পরিস্থিতিতে দেশে নতুন অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পাশাপাশি, বর্তমানে চলমান অক্সিজেন প্লান্ট গুলিতে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক সংস্থা।

করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য, যেখানে চিকিৎসকরা দিনরাত এক করছেন, ঠিক তেমনটাই ঘটছে অক্সিজেন প্লান্টগুলিতে। কিছু কাল আগে পর্যন্ত এই প্লান্টগুলিতে শিল্পের জন্য অক্সিজেন উৎপাদিত হচ্ছিল, তবে এখন সেখানে কেবলমাত্র মেডিকেল অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। দেশে মারণ ভাইরাসের এহেন তাণ্ডবের সময়ে বেশিরভাগ অক্সিজেন বোকারো ও ভিলাই স্টিল প্ল্যান্ট থেকে গোটা দেশে পাঠানো হচ্ছে।

   

Bokaro Steel Plant

বোকারো সেলে কর্মরত শ্রমিক ও আধিকারিকরা প্লান্টে (Oxygen Plant) দিনরাত কাজ করছেন। এখান থেকে প্রতিদিন দেড়শ টন অক্সিজেন তৈরি হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশ, সর্বত্র বোকারো সেল থেকে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। অক্সিজেন তৈরির জন্য বোকারো সেলটিতে দুটি প্লান্ট রয়েছে। উভয় প্লান্টের কর্মীরা বর্তমানে তিন শিফটে কর্মরত। একটি শিফট আট ঘন্টা স্থায়ী হয়। কর্মীরা আট ঘন্টা শিফটে নন-স্টপ কাজ করেন। এমনকি কাজের সময় তারা তাদের খাবারের দিকেও নজর দিচ্ছেন না। কেউ যখন তাদের টিফিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, তখন কর্মচারীরা বলেন যে, অনেক কাজ করার আছে।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে এক কর্মচারী জানালেন যে, করোনা রোগীদের জীবন বাঁচাতে তিনি সামান্য অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র। সেই সুযোগ হাত ছাড়া করতে চান না। তিনি এও বলেন, “আমরা এখনই মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। কাজ শেষ হলেই আমরা টিফিন করি।

সম্পর্কিত খবর