বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সরব রাজ্য রাজনীতি। একাধিকবার এই নিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করেছেন স্বয়ং রাজ্যপালও। এমনকি হাইকোর্টেও এ নিয়ে যথেষ্ট সমালোচিত হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকদের যথেষ্ট সহায়তা করা হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে। যার জেরে ফের একবার মানবাধিকার কমিশনকে রাজ্যের সমস্ত এলাকা ঘুরে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। জানানো হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে যেন সবরকম সহায়তা করা হয়।
ইতিমধ্যে একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলেছেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সমস্ত অভিযোগ শুনছেন তারা। শুধু তাই নয়, একটি শিবিরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে সল্টলেকে। যাতে মানুষ সেখানে এসে সরাসরি নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারেন। গতকালই তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সোমবার সকাল আটটা থেকে সল্টলেকের সিআরপিএফ ক্যাম্পে বসলেন মানবাধিকার কমিশনের আধিকারিকরা। শুনবেন সমস্ত মানুষের অভিযোগ।
আর সেই সূত্র ধরেই বিশাল লাইন দেখা গেল সল্টলেক সিআরপিএফ ক্যাম্পের সামনে। লাইনে রয়েছেন সমস্ত বয়সী মানুষই। কারও কোলে দুধের শিশু, কেউ বা বৃদ্ধ প্রত্যেকেই নির্মম সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ। এর আগেও বারবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি ছিল, জেলায় জেলায় বিরোধী দল করার অপরাধে রাজনৈতিক কর্মীদের ঘরছাড়া হতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফিরতে হলে দিতে হচ্ছে জরিমানা। এছাড়া মারধরের ভয় তো আছেই।
এদিন ওই লাইনে দাঁড়ানো এক ব্যক্তি বলেন, কয়েক মাস ধরেই বাড়িতে থাকতে পারছেন না তিনি। এমনকি কলকাতাতেও বাড়ি ঘর ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন আগামী দিনে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট রাজ্যের জন্য কি ফল বয়ে আনে সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।