বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের দেবরিয়া জেলা থেকে এক আজব খবর সামনে আসছে। সেখানকার সলেমপুর কোতওয়ালি পুলিশ চিকিৎসা চলাকালীন মৃত ব্যক্তিকে সনাক্ত করানোর পর তাঁর দেহ পোস্ট মর্টেম করার জন্য পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ যেই ব্যক্তির দেহর পঞ্চনামা করিয়েছিল, সেই ব্যক্তি নিজের গ্রামের এক চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল।
পুলিশকে রাস্তার মোড়ে বসে ওই ব্যক্তির চা খাওয়ার খবর দেয় স্থানীয় মানুষ। কোতওয়ালি মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমে নিয়ে যাওয়া দুই কনস্টেবলকে তৎক্ষণাৎ মৃত ব্যক্তির পোস্ট মর্টেম রদ করার নির্দেশ দেয়। এরপর সেই মৃত ব্যক্তিকে আবারও সনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় লেগে পড়ে পুলিশ।
সলেমপুরের হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। কয়েকজন এই মৃত্যুর খবর মইল থানা এলাকার শ্রীনগর গ্রামে দিয়েছিল। এরপর অনেকেই হাসপাতালে ওই মৃত ব্যক্তিকে দেখতে আসে। মৃত ব্যক্তিকে শ্রীনগর গ্রামের বাসিন্দা ফুলেশ্বর রাজভর নামে সনাক্ত করা হয়। স্থানীয়রা মৃত ব্যক্তির বিষয়ে পুলিশকে জানায়।
কোতওয়ালি দারোগা অনিল সিং আর দুজন সিপাহী ঘটনাস্থলে পৌঁছান আর মৃতদেহকে সনাক্ত করার পর পঞ্চনামা করে পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠিয়ে দেয়। মৃত ব্যক্তির পোস্ট মর্টেমের প্রস্তুতি চলছিল, আর সেই সময় শ্রীনগর গ্রামের বাসিন্দা পুলিশকে জানায় যে, ফুলেশ্বর রাজভর গ্রামের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে। এই কথা শোনার পর পুলিশ আধিকারিকদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় আর পোস্ট মর্টেম রুখে দেয়।
পোস্ট মর্টেম করার আগে পুলিশ ফুলেশ্বর রাজভরের ছেলেকে খবর দিয়েছিল। ফুলেশ্বরবাবুর ছেলে মৃত ব্যক্তিকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করছিল। পরে যখন সে জানতে পারে যে তাঁর বাবা গ্রামের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে। তখন সে মৃতদেহ ছেড়ে বাড়িতে চলে যায়। ফুলেশ্বরবাবুর ছেলে জানায়, আমি কাঁদছিলাম বলে ঠিক মতো সনাক্ত করতে পারিনি।