বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) আজকাল কৃষকদের আওয়াজ জোরালো করার জন্য ‘ক্ষেতি বাঁচাও” আন্দোলনের কারণে তিনদিনের পাঞ্জাব সফরে আছেন। কংগ্রেসের তরফ থেকে রাহুল গান্ধীর এই অভিযানকে সফল করতে রাস্তায় হাজার হাজার ট্র্যাক্টরের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু, রাহুল গান্ধী আর কংগ্রেসের নেতাদের ভাষণ শোনার জন্য সভায় লোক হচ্ছে না।
সোমবার পাঞ্জাবের সঙ্গরুর জেলার সমানায় আয়োজিত র্যালিতে অনেক কয়েকটি ট্র্যাক্টর দেখা গেলেও রাহুল গান্ধীর ভাষণ শোনার জন্য হাতে গোনা মানুষই সভায় গিয়েছিলেন। সভায় দর্শকদের বসার জন্য বন্দোবস্ত করা চেয়ারের সিংহভাগই খালি ছিল। রাহুল গান্ধী যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন অনেককেই সভা স্থলের বাইরে ট্র্যাক্টর চালাতে দেখা যায় অনেককেই। সুত্র অনুযায়ী, বিগত দুদিন ধরে ট্র্যাক্টর চালকদের ৫০০ টাকা ডিজেল কিনে দেওয়া হচ্ছে।
এরকমই কিছু কংগ্রেসের ক্ষেতি বাঁচাও আন্দোলনের প্রথম দিনে দেখা যায়। রবিবার রাহুল গান্ধী মোগায় জখনই ভাষণ দেওয়া শুরু করেন। তখনই শয়ে শয়ে মানুষ সভা ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং আর কংগ্রেস নেতা নবোজ্যোত সিং সিধু ভাষণ দেওয়ার সময়েও মানুষ বসে ভাষণ শুনছিল। তবে এর প্রধান কারণ এটাও ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, ওনারা পাঞ্জাবিতে ভাষণ দিচ্ছিলেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী যখন বলা শুরু করেন, তখনই সবাই সভা ছেড়ে চলে যায়।
সভা ছেড়ে যাওয়া মানুষদের কাছে কারণ জিজ্ঞাসা করলে ওনারা বলেন, তাঁরা শুধু সিধুর ভাষণ শুনতে এসেছিলেন। আবার অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সকাল ১০ টার সময় আসতে বলে রাহুল গান্ধী নিজে ১ টা নাগাদ র্যালিতে পৌঁছান। উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী দুদিন ধরে পাঞ্জাবের যেই কৃষকদের সামনে ভাষণ দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষ খালি পাঞ্জাবি ভাষাই জানেন। অনেক কৃষকই বলেন যে, রাহুল গান্ধী হিন্দিতে যা বলছেন সেগুলো আমাদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।