‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’, বিষ্ণুপুর মেলায় জ্ঞান গেয়ে মঞ্চ মাতালেন মহকুমা শাসক নেহা, গলা শুনে মুগ্ধ রাজ্যবাসী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রশাসনিক কাজ সামলায় বলে যে তার অন্য কাজে মাহাত্ম্য থাকবে না তা কী হয়? আসলে বাংলা প্রবাদেই আছে ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’। আবারও এই প্রবাদটিকে তিনি প্রমান করে দিলেন সকলের সামনে। মানুষের রক্ষা করা তার রোজের কাজ, কিন্তু তারই ফাঁকে গানের রেওয়াজ চলে নিয়ম করে। বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur) অতি প্রসিদ্ধ এক মেলায় মহকুমা শাসকের গলায় গান শুনে মুগ্ধ সকলেই। ইনি আইএস অফিসার নেহা বন্দোপাধ্যায় (Neha Bondopadhyay)।

বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার মহকুমার শাসক তিনি। তিনি ভীষণ ব্যস্ততার মাঝেও একজন দুর্দান্ত সঙ্গীত শিল্পী। সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও যে তিনি নিজের রেওয়াজ চালিয়ে যাচ্ছেন এটা শুনেই অবাক সকলে। তিনি আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। তাই অনেকবারই খাতড়ার বাসিন্দাদের তার গান শোনার সুযোগ হয়েছে। এবারে সেই সুযোগ পেল বাঁকুড়ার মানুষরা।

রবিবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর মেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে গান করেন তিনি। যখন মাইক হাতে নিয়ে গান গাইতে শুরু করেন, তখন তার গান শুনে কয়েক হাজার দর্শকের মনে ঝড় উঠেছিল। তিনি দুটি হিন্দি এবং একটা বাংলা গানের মধ্যে দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তুলেছেন। তার গাওয়া আশিকি ২ ছবির দুটি হিন্দি গান এবং ‘পৃথিবী নাকি ছোট হতে হতে’ বাংলা গান গেয়ে উপস্থিত মানুষের হাততালির রেস তুলে দিয়ে ছিলেন। খাতড়ার মানুষ এই সংস্কৃত মনস্ক মহকুমাশাসকে পেয়ে খুব খুশি। কারণ তারা মনে করেন, নেহার মাধ্যম দিয়ে খাতড়া সংস্কৃত চর্চায় আরও এগিয়ে যাবে।

আরও পড়ুন : রেলকর্মীর দুই স্ত্রী থাকলে দু’জনেই পেনশনের সমান অধিকারিণী, রেল নীতি দেখে বড় নির্দেশ আদালতের

মহকুমাশাসক নেহা বন্দোপাধ্যায় জানান, ‘আমার জন্ম কলকাতা শহরেই এবং আমার বেড়ে ওঠা এখানেই। আর বাকি পাঁচটা মেয়ের মতো আমিও ছোট থেকে গান শিখেছি। তবে ক্লাস ১০-র পর থেকে আর সেভাবে শেখা হয়নি। তিনি এও বলেন তিনি কলেজের ব্যান্ডে গান এবং মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীন সেখানেও স্টেজ পারফর্ম করেছে’।

আরও পড়ুন : নতুন বছরে বাড়ল ৩ টি ছুটি, জন্মাষ্টমী থেকে ছট পুজোয় মিলবে ‘হলিডে’! নয়া তালিকা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

এক সাক্ষাৎকারে নেহা বন্দোপাধ্যায় বলেন, তিনি যদি সরকারি আধিকারিক না হতেন তাহলে, সে একজন সঙ্গীত শিল্পী হতেন। যদিও তিনি এ কোথাও বলেন তার এখনও অনেক শেখা বাকি আছে। তবে সে সরকারি চাকরি করে তৃপ্ত, আর এই কাজই তার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর