বাংলা হান্ট ডেস্ক: সংস্কার করা হবে টালা ব্রিজের, তথাপি ব্রিজের নিচ থেকে বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। তাদের পাঠানো হয়েছে অস্থায়ী শিবিরে। কিন্তু তাদের সকলের একই অভিযোগ যে অস্থায়ী শিবির বসবাসের জন্য অস্থায়ী শিবির বসবাসের জন্য অত্যন্ত অযোগ্য। যথাযথ ব্যবস্থা সুনির্দিষ্ট না করেই তাদেরকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই বাসিন্দারা। হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছেন ওই বাসিন্দাদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি মানবিক দিক থেকে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই আগামী ১০ দিনের মধ্যে টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে৷ কিন্তু ব্রিজ ভাঙার সময় কোন রাস্তাগুলি দিয়ে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সম্প্রতি আর এক দফা বৈঠক করে প্রশাসন৷ কোন কোন বিকল্প রাস্তা দিয়ে যান চলাচল হবে তার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে বৈঠকে।
সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, টালা ব্রীজ ভাঙার আগে সেতুর দুদিকে তৈরি করা হবে দুটি গার্ডওয়াল। বেলগাছিয়া ও লকগেট ব্রিজ দিয়ে একমুখী করা হবে যান চলাচল। কলকাতাগামী বাস ও মিনিবাসগুলিকে বেলগাছিয়া ব্রিজ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে শ্যামবাজারের দিকে। উলটো দিক দিয়ে আসা বাসগুলিকে লকগেট ব্রিজ দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে৷ তবে বেলগাছিয়া ব্রিজের দুইদিক দিয়েই যাতায়াত করতে পারবে ছোটো গাড়িগুলি।
কেএমডিএ-এর পক্ষ থেকে টালা ব্রিজ এর মডেল নিয়ে আসা হয় কলকাতা পুরসভাতে। মূলত প্রস্তাবিত নতুন টালা ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি অসুবিধা রয়েছে। যেমন ব্রিজের নিচে চক্ররেল এর লাইন বরাবর রয়েছে বস্তি অঞ্চল। এছাড়াও সবথেকে অসুবিধার বিষয়টি হলো এশিয়ার বৃহত্তম ওভারহেড রিজার্ভার টালা ট্যাঙ্ক থেকে পানীয় জল সরবরাহের পাইপলাইন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। মডেল অনুযায়ী কাজ করলে কোনো অসুবিধা হবে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।