বাংলাহান্ট ডেস্ক : পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করা হোক দেশে। সম্প্রতি বিষয়ে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলার হয়। সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি বলেন, এখনই এ বিষয়ে তাঁরা আবেদন গ্রহণে অনিচ্ছুক। একই সঙ্গে আপাতত বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামাতে রাজি নন বলেই স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
দেশে পর্নোগ্রাফির উপরে নিষেধাজ্ঞা দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) জবাব
সুপ্রিম (Supreme Court) কোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে নেপালের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং পর্নোগ্রাফির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল প্রতিবেশী নেপালে। সেখানে দেখা গিয়েছিল, ‘জেন জি’ প্রজন্ম একত্রিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। শেষমেষ জেন জি প্রজন্মের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় নেপাল সরকার।

কী বললেন প্রধান বিচারপতি: প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে এদিন প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) বি আর গভৈ বলেন, এখনই এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না আদালত। চার সপ্তাহ পরে আবারও এ মামলায় হবে শুনানি। উল্লেখ্য, মামলাকারীর দাবি, পর্নোগ্রাফি বন্ধ করতে সরকার যেন একটি জাতীয় নীতি গ্রহণ করে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এই ধরণের কন্টেন্ট দেখা পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ করা দরকার।
আরও পড়ুন : ‘আমার ভাই পরীক্ষা পাস করেই চাকরি পেয়েছে’, অযোগ্য তালিকায় নাম উঠতেই সাফাই তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিকের
ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা: দাবিতে মামলাকারীর তরফে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটে এমন বহু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলি কোটি কোটি পর্নোগ্রাফি ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী সময়ে পড়ুয়ারা অনলাইনে বেশি সময় কাটানোয় সহজেই এসব কনটেন্টে ঢুকে পড়ছে তারা। নিয়ন্ত্রণ করারও কোনও উপায় নেই।
আরও পড়ুন: নীতীশের ‘মহিলা রোজগার’-এর পাল্টা চাল, ভোট টানতে বছরে ৩০ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি তেজস্বীর
এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, পড়ুয়াদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে সফটওয়্যার রয়েছে অভিভাবকদের কাছে। যদিও মামলাকারীর দাবি, দেশে প্রায় ২০ কোটি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও রয়েছে যেখানে শিশু নির্যাতনের ভিডিও রয়েছে। সরকার চাইলেই ৬৯ এ ধারায় এই ধরণের ওয়েবসাইট বন্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন মামলাকারী।













