আর নেই চিন্তা! এবার লাফিয়ে কমবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম, মিলল বড় আপডেট

Published on:

Published on:

Petrol-Diesel Price will drop sharply this time.
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী দিনে পেট্রোল-ডিজেল (Petrol-Diesel Price) সহ LPG-র দাম আরও কমতে পারে। ইতিমধ্যেই জেপি মরগান ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে ২০২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ৩০ ডলারে নেমে আসতে পারে। মূলত, বিশ্বব্যাপী তেলের সাপ্লাই ডিন্ডের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। আর সেই কারণেই এমনটা ঘটবে। এটি ভারতের মতো দেশগুলির জন্য নিঃসন্দেহে সুসংবাদ। কারণ, ভারত অপরিশোধিত তেলের চাহিদার ৮৫ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে। যার জন্য উল্লেখযোগ্য খরচ করতে হয়।

সস্তা হবে পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol-Diesel Price) দাম:

জেপি মরগানের সর্বশেষ অনুমান অনুসারে, আগামী ৩ বছরে তেলের ব্যবহার বাড়বে। তবে তেল উৎপাদন আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে, OPEC+ ছাড়াও অন্যান্য দেশগুলিও অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন বাড়াবে। এর ফলে বাজারে তেলের আধিক্য তৈরি হবে এবং দাম কমে যাবে। ২০২৫ সালে বিশ্বে তেলের চাহিদা দৈনিক ০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে মোট ব্যবহার ১০৫.৫ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছবে বলেও জানা গিয়েছে।

Petrol-Diesel Price will drop sharply this time.

সাপ্লাই-ডিমান্ড: উল্লেখ্য যে, এই বৃদ্ধি ২০২৬ এবং ২০২৭ সালেও অব্যাহত থাকবে। জেপি মরগানের অনুমান, চাহিদার তুলনায় তেলের সরবরাহ প্রায় ৩ গুণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। ২০২৭ সালে সরবরাহ বৃদ্ধির গতি কিছুটা ধীর হবে। তবে বাজারের পরিপ্রেক্ষিতে এটি অনেকটাই বেশি থাকবে। ডিমান্ড এবং সাপ্লাইয়ের এই ভারসাম্যহীনতা OPEC+ দেশগুলির ক্রমবর্ধমান তেল উৎপাদনের কারণেই ঘটবে।

আরও পড়ুন: স্মৃতির সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন পলাশ? বিবাহ স্থগিত হওয়ার পরেই ভাইরাল চাঞ্চল্যকর স্ক্রিনশট

জেপি মরগানের অনুমান, ২০২৭ সালের মধ্যে হওয়া মোট সরবরাহ বৃদ্ধির অর্ধেক আসবে এই দেশগুলি থেকেই। এর কারণ নতুন গভীর সমুদ্র তেল উত্তোলন প্রযুক্তি এবং বিশ্বব্যাপী শেল তেলের ক্রমবর্ধমান উৎপাদন। গভীর সমুদ্র থেকে তেল উত্তোলন এখন একটি নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে। ২০২৯ সালের জন্য নির্ধারিত বেশিরভাগ তেল উত্তোলনকারী জাহাজ ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ৩০ দিনের মধ্যেই ৩ টি বিশ্বকাপ! এবার মহিলা কাবাডি ওয়ার্ল্ড কাপ জিতল ভারতের মেয়েরা

দাম কত কমবে: এই ভারসাম্যহীনতার কারণে, ২০২৬ সালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬০ ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে এবং বছরের শেষ ৩ মাসে ৫০ ডলারের প্রারম্ভিক স্তরে পৌঁছাতে পারে। বছরের শেষ নাগাদ, এটি প্রায় ৪০ ডলারে পৌঁছতে পারে। ২০২৭ সালের মধ্যে, গড় দাম ৪২ ডলারে নেমে আসতে পারে এবং বছরের শেষ নাগাদ ৩০ ডলারেরও নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারের ওপরে লেনদেন হচ্ছে।