বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের অয্যোধ্যায় ভব্য রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সবাই এগিয়ে এসে নিজের সাধ্যমতো দান দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের দান দিয়ে শুরু হওয়া ‘নিধি সমর্পণ অভিযান” শেষ হয়ে গিয়েছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের এক পদাধিকারের মতে, এখনও পর্যন্ত রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার উপরে দান সংগ্রহ হয়েছে। তবে সব হিসেব এখনও শেষ হয়নি, হিসেব শেষ হলে এই দানের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
আর এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি দুরন্ত গতিতে ভাইরাল হচ্ছে। ওই ছবিটি হল একটি ব্যাঙ্ক চেকের। অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ওই ব্যাঙ্ক চেকের মাধ্যমে দান দেওয়া হয়েছে। চেকের বিশেষত হল, এমন সুন্দর কায়দা করে দান দেওয়া হয়েছে যে, দানের অঙ্কেও রাম নাম লেখা আছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ওই চেকে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ২১৪ টাকার অঙ্ক দেখা যাচ্ছে। আর সেই টাকার পরিমাণ এমন কায়দার লেখা হয়েছে যে, প্রথমবারেই মনে হবে সেখানে ‘রাম রাম” লেখা আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই চেকের ছবি ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হচ্ছে। আর সবাই চেক প্রদানকারীর দক্ষতার প্রশংসা করছেন। বলে রাখি, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেওয়া ওই চেক ২৬ ফেব্রুয়ারি ইস্যু হয়েছে।
https://twitter.com/Rashtradharam/status/1365912525699567618
বলে রাখি, রাম মন্দির নিধি সমর্পণ অভিযানের শুভারম্ভ মকর সংক্রান্তির দিন ১৫ জানুয়ারি থেকে হয়েছিল। দান সংগ্রহ করার জন্য টিম প্রায় ৫ লক্ষ গ্রামে ঘুরেছে। স্বয়ংসেবকদের দ্বারা প্রাপ্ত দান রাশি শ্রী রাম তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের SBI/PNB/BOB ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে।
ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় অয্যোধ্যার ট্রাস্ট কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সদস্য প্রকাশ গুপ্তা বলেন, আপাতর ওনার কাছে শুধু আনুমানিক রাশি আছে। যেটা পায় ২ হাজার কোটি টাকার। তিনি আরও বলেন, গণনা আর অডিটের পুরো প্রক্রিয়ায় এক মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। অনেক চেক এখনও ব্যাঙ্কে জমা আছে আর শুক্রবার থেকে তিনদিনের জন্য ব্যাঙ্কের ছুটি ছিল। এই কারণে সব চেক ক্লিয়ার হয়নি। আমরা স্বয়ংসেবকদের কাছ থেকে বাকি পড়ে থাকা কুপন গুলো ফেরত নেব, আর সেগুলো গুনতে হবে।
রাম মন্দিরের ভিত্তি পূরণের কাজ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শুরু হবে। এখনও মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের জন্য খনন চলছে। রাম জন্মভূমি চত্বরের অভ্যন্তরে মন্দিরগুলি ভেঙে ফেলার পরে বিশাল জেসিবি মেশিন জমি সমতল করছে।