বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে দুর্গাপূজার (Durga Puja 2022) অনুদান। রাজ্যের বিরুদ্ধে আরও একবার হল জনস্বার্থ মামলা (PIL)। এই নিয়ে মোট চারটি মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (calcutta high court) এর যখন মামলা হয় তখন মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, সরকার যেখানে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে পারছে না, সেখানে পূজোর জন্য ক্লাবগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয় কোন অধিকারে?
এবারে যিনি জনস্বার্থ মামলা করেছেন, তাঁর বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গেলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ফান্ড নেই বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে। সরকার সেখানে টাকার কোনও ব্যবস্থা না করে ক্লাবগুলিকে টাকা দিচ্ছে কেন? যিনি এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন, তিনি পেশায় আবার একজন চিকিৎসক। জানা যাচ্ছে, পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা ওই চিকিৎসকের নাম শান্তনু দে।
মামলাকারী চিকিৎসক শান্তনু দে এই জনস্বার্থ মামলায় জানতে চেয়েছেন, রাজ্যের বাজেটে এই অনুদানের জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ ছিল কি না? যদি না থাকে তাহলে কীভাবে সরকার এই টাকা দিতে পারে? গত দু’বছর সরকার পূজা কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল। এবার সেই আর্থিক অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ হাজার হয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৬০ শতাংশ বিদ্যুতের বিলে ছাড়।
মামলাকারীর দাবি, বিদ্যুতের বিলে পূজা কমিটিগুলি যে ৬০ শতাংশ ছাড়ের সুবিধা পাবে, তা রাজ্যের সমস্ত বাড়ির সংযোগেও দেওয়া হোক। এরই সঙ্গে মামলাকারী আরও বলেন, স্বাস্থ্য দফতর ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসাথী চালু করে। কিন্ত এই প্রকল্পে প্রাইভেট নার্সিংহোমগুলির কোটি কোটি টাকা বিল বাকি। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি নিতে চাইছে না কোনও হাসপাতালই। মামলাকারী চিকিৎসকের অভিযোগ, সরকার এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন, ফান্ড নেই বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। আমফানের কোটি কোটি টাকা বাকি। কিন্ত দুর্গাপূজা কমিটিকে টাকা দিতে সরকারের টাকার কোনও অভাব হয় না।
মামলাকারী গত বছরের পূজার ফান্ডের খরচের অডিট রিপোর্টও দেখতে চান। মামলাকারীর শান্তনুবাবু আরও বলেন, কিছু ক্লাবের পূজার বাজেট কোটি কোটি টাকা। তারা কি আদতে এই টাকা পাওয়ার যোগ্য? সে বিষয়েও আদালতকে খতিয়ে দেখতে দাবি জানান তিনি। মামলাকারীর আইনজীবী শমীক বাগচী জানান, এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি হতে পারে আগামী সোমবার। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।