‘শ্রীময়ীর সঙ্গে বিয়ে আদৌ টিকবে?’ কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কির গলায় এ কেমন সুর!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২০২০ সালটা গোটা বিশ্বের কাছে ছিল চ্যালেঞ্জিং। করোনা মহামারীর জন্য গোটা বিশ্বের সাথে সাথে এদেশেও শুরু হয় লকডাউন। সেই সময়টায় সবাই যখন এক প্রকার ‘গৃহবন্দী,’ তখন কলকাতার এক তারকা দম্পতির সংসার হয়ে উঠছিল ‘জতুগৃহ।’ অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সেই সময় অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছিল চিড় ধরতে শুরু করেছে কাঞ্চন-পিঙ্কির দাম্পত্যে। শোনা যেতে থাকে এক কম বয়সী অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছেন কাঞ্চন। তবে এসব দেখে চুপ করে থাকেননি কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী (তখন বর্তমান) পিঙ্কি। ধীরে ধীরে এই ঘটনার জল গড়িয়েছিল আদালত অবধি। শেষমেষ কাঞ্চন মল্লিক ডিভোর্স পেয়ে যান পিঙ্কি বন্দোপাধ্যায়ের কাছ থেকে।

আরোও পড়ুন : এখন কথা বলেই ঝটপট বুক করুন ট্রেনের টিকিট! দুর্দান্ত পরিষেবা শুরু IRCTC-র, মিলবে একগুচ্ছ সুবিধা

গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কাঞ্চন মল্লিক আইনি বিয়ে সেরে ফেলেন বহু চর্চিত সেই ‘কম বয়সী’ অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সাথে। রেজিস্ট্রি  পর কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর বিয়ের ছবি বেশ ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে। তবে এই বিয়ে নিয়ে উঠতে থাকে বিভিন্ন প্রশ্ন। ট্রোলিংও করা হয় অভিনেতাকে। কাঞ্চনের এই বিয়ে নিয়ে বেশ কিছু বিষয় সমাজ মাধ্যমে ঘোরাফেরা করে।

আরোও পড়ুন : আধার কার্ড নিয়ে বড় আপডেট! শুনে খুশিতে লাফাবেন আপনিও

যেগুলির মধ্যে কয়েকটি হল – ‘রোগা চেহারার কাঞ্চন কীভাবে তিনটে বিয়ে করে ফেললেন?’ অথবা ‘কাঞ্চনের সাথে শ্রীময়ীর বয়সের ফারাক ২৭ বছরের।’ এই ধরনের অসংখ্য আলোচনা দেখে কাঞ্চনের দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি ও তাঁদের পুত্র ওশ ক্ষমা করে দিয়েছেন অভিনেতাকে। মাকে ওশ বলেছেন, “বাবাকে ব্লেস (আশীর্বাদ) করো।” 

IMG 20210620 144422

অন্যদিকে পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন,  “আমার ভাল লাগছে এটা ভেবে যে, শেষমেশ দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি একে-অপরকে স্বীকার করেছেন এবং বিষয়টাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা খুব দরকার ছিল। আমি আশা করি কাঞ্চন এই বিয়েটায় যেন সুখী হয়।” যদিও পিঙ্কির এই কথা মোটেও মানতে পারছেন না তাঁর কাছের মানুষরা। তাঁরা বলছেন, “ভুলে গেলি পিঙ্কি কাঞ্চন তোর সঙ্গে কী করেছে…?”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর