‘উনিই আমায় ঠকিয়েছেন!’ কে প্রতারণা করল ‘লিডিং মোস্ট হিরো’ বনির মা পিয়ার সাথে?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta)। শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেতার বিরুদ্ধে। যদিও ইডির নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। এবার ছেলের প্রসঙ্গ সরতেই অভিনেতা মা পিয়া সেনগুপ্তর (Piya Sengupta) বিরুদ্ধে উঠল প্রতারণার অভিযোগ।

ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ, টাকা নেওয়ার পরও ফ্ল্যাট বিক্রি করতে রাজি হননি তিনি। পিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ডিরেক্টর সমীরণ মল্লিকের। অন্যদিকে, সমীরণবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ সরব বনি সেনগুপ্তর মা।

প্রসঙ্গত, কিছু বছর আগে পিয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে সমীরণবাবু বলেন, কসবায় একটি ফ্ল্যাটের জন্য পিয়া সেনগুপ্তকে তিনি অগ্রিম ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। যে ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছিল। তবে অভিযোগ পরবর্তীকালে নিজের কথা থেকে সরে যান পিয়া। সমীরণ মল্লিক বাকি ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে গেলে ফ্ল্যাটটি আর বিক্রি করা হবে না বলে জানিয়ে দেন পিয়া। এরপরেই পিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি। যা এখনও আদালতে বিচারাধীন।

bonny piya

এই বিষয় সামনে আসতেই মুখ খোলেন পিয়াদেবী। তিনি বলেন, “এটি বহুদিন আগের ঘটনা। আমার ফ্ল্যাট কিনবেন বলে ভদ্রলোক আমার কাছে এসেছিলেন। ১০ লক্ষ টাকা আমাকে অগ্রিম হিসেবে দিয়ে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশনও করেন। তবে তার বেশ কিছুদিন বাদে আমাকে একটা চিঠি দিয়ে বলেন ওনাকে যাতে ছ’মাস সময় দেওয়া হয়, কারণ সেই সময় ওনার কাছে টাকা ছিল না। আমরা সময় দিই ওনাকে। সেই সময় আমার বিভিন্ন কারণে অর্থের প্রয়োজন ছিল বলে আমি ফ্ল্যাটটা বিক্রি করছিলাম। কিন্তু উনি আমায় না জানিয়েই আমার পাশে একটি ফ্ল্যাট কিনে নেন। যেখানে এখন উনি থাকেন।”

পিয়ার সংযোজন, “মামলাটি যখন শুরু হয় আমরা বারবার বলেছিলাম টাকা মিটিয়ে ফ্ল্যাটটি যেন উনি নিয়ে নেন। ওই ফ্ল্যাট এখনও পড়েই আছে। উনি নিজে আমাকে বললেন টাকা নেই অথচ আমার পাশের ফ্ল্যাট কিনে নিলেন। তার কিছুদিন বাদে উনি আমার বিরুদ্ধে একটা ক্রিমিনাল কেস করে দিলেন। এই অভিযোগেই যে আমি ওনার ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট দিইনি। মামলা চলছে, আমরা চ্যলেঞ্জ করেছি। ক্রিমিনাল কেস তো নয়! উনি তো ফ্ল্যাটটা রেজিস্ট্রি করেছেন। তাহলে আমি ক্রিমিনালের কাজ কোথায় করলাম? উনিই তো আমায় ঠকিয়েছেন।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর