বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সাহায্য করেছিলেন একাধিক শুভানুধ্যায়ী।ফলে জোগাড় হয়েছিল অভিযানের খরচ। হয়েছিল শৃঙ্গজয়। কিন্তু ১২ লক্ষ টাকা দেনা বাকি রয়েছে যা না মেটালে পাওয়া যাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গজয়ের শংসাপত্র। তাই এখন চিন্তায় ঘুম উঠেছে পিয়ালী বসাকের পরিবারের। ফলে আক্ষেপ ঝরে পড়ছে সদ্য পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গজয়ী পিয়ালী বসাকের মা স্বপ্না বসাকের গলাতেও।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে মেয়ের সাফল্যে তিনি খুব খুশি হয়েও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। যারা সাহায্য করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তবে এখনও প্রচুর টাকা জোগাড় করতে হবে। সাহায্যকারী শেরপাদের বোনাসও দিতে হবে। শৃঙ্গবিজয় অভিযানের আগেই চুক্তি হয়েছিল যে কাঠমান্ডুতে থাকাকালীন নেপালের অভিযান আয়োজক সংস্থাকে যাবতীয় টাকা না মেটানো হলে সার্টিফিকেট পাবেন পিয়ালী।
পিয়ালীর পরিবার জানিয়েছে যে এখনও বেশ কয়েকজন সাহায্য করছেন, কিন্তু তাও ১২ লক্ষ টাকা বাকি থেকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পিয়ালীর পরিবার ব্যাঙ্কের সঙ্গে বাড়ি বন্ধক দেওয়ার বিষয়ে বিশদে আলোচনা চালাচ্ছে। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, যে এই প্রক্রিয়া খুবই সময়সাপেক্ষ। কিন্তু এখন পিয়ালীর পরিবারের কাছে আর উপায় নেই। এর ৩ বছর আগে এভারেস্টের ৮৪৩০ মিটার পর্যন্ত উঠেও ফিরতে হয়েছিল পিয়ালীকে। কিন্তু এবার আর হার মানেননি পিয়ালী। তার লক্ষ্যে সফল হয়েছেন।
তার এই অভিযানের জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে শুরু করে তার ট্রেনার, প্রত্যেকেই নিজের মতো করে অর্থসাহায্য করেছিলেন। বেশ কিছু সংস্থা সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল। স্বপ্না দেবী নিজেও তার বক্তব্যে বলেন যে ইনারা ছাড়াও পিয়ালীর স্কুল, পাড়াপড়শি, স্থানীয় চিকিৎসক থেকে সকলেই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। আপাতত ৪ নম্বর ক্যাম্পে রয়েছেন পিয়ালী। তারপর আবহাওয়া ঠিক থাকলে এভারেস্ট অভিযানের ২ নম্বর ক্যাম্পে নেমে আসবেন। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর ফের নীচে নামার প্রস্তুতি নেবেন তিনি।