বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রনয়ন ঘিরে কম জল্পনা হয়নি। আর সেই জল্পনায় আগুন ক্রমশই উস্কে উঠেছে। সেসময় শাসক শিবিরের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন যাতে প্রনয়ন না হয় তারঁ জন্য সমস্ত অবিজেপি মু্খ্যমন্ত্রীদের এক হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন।যদিও এনআরসি বিরোধী মন্তব্য করার জন্য তাঁর দলের তরফে তাঁকে শোকজ করাও হয়েছিল। তবে সেসব এখন অতীত। শুধু নাগরিকত্ব আইন নয় এনআরসির ও বিরোধিতায় ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও এখনও বিরোধিতা করছেন কিন্তু সুর বদলে গেছে।
তাই তো এবার এনআরসির বিরোধিতা করে কংগ্রেসকেই পাল্টা তোপ দাগলেন প্রাশ্নত কিশোর।তাই তো এবার প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের জন্য বিজেপির ভোটবাক্সে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেন প্রশান্ত কিশোর। পাশাপাশি নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে কংগ্রেসকে পাল্টা তোপও দেগেছেন। তাই দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের কাছ থেকে আন্দোলন বা সমর্থণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান।
পাশাপাশি ট্যুইটারে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর লেখেন, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা এনআরসি, কোনও ইস্যুতেই রাস্তায় নামেনি কংগ্রেস। এমনকী, সাধারণ নাগরিকরা এই দুই ইস্যুর বিরোধিতায় যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, তাতেও কংগ্রেসের নেতাদের দেখা যাচ্ছে না। কংগ্রেস নেতারা মুখে যতই এনআরসির বিরোধিতা করুক। এই সব বিরোধিতার কোনও মানেই হয় না, যদি না কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের রাজ্যে এনআরসি হবে না।”
https://twitter.com/PrashantKishor/status/1208247357671923714
যদিও সিএএ নিয়ে দেশের গন আন্দোলনের কথা তাঁর জানা। এমনকি যেভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা মাথা চারা দিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে নিজেও কিন্তু বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন তবে এবার উল্টোপথে হেঁটে মোদীর সমকক্ষ কেউ নেই বলে মন্তব্য করেন প্রশান্ত কিশোর।
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রনয়নের সঙ্গে সঙ্গে জনতা দল ইউনাইটেড এর রাষ্ট্রীয় সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোর হতাশা জাহির করে বলেন, এই বিল ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করবে। মধ্য রাতে যখন লোকসভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এর নেতৃত্বে নাগরিকতা সংশোধন বিল পাশ হয়, তখন জনতা দল ইউনাইটেড এর সহ সভাপতি ট্যুইট করে জানান, এই বিল দলের সংবিধানের সাথে মিল খায়না।