গৃহবন্দি চিনের প্রেসিডেন্ট জিংপিং? ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য ড্রাগনের দেশে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে বিশ্বে শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান দেশ হিসেবে চিনের (China) নাম ক্রমাগত উপরের দিকে বিরাজ করে চলেছে। নিজেদের তুলনায় ছোট দেশগুলির ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন থেকে শুরু করে অতীতে একাধিক ক্ষেত্রে চিনা নৃশংসতার সাক্ষী থেকেছে বিশ্ববাসী। তবে বর্তমানে সেই চিনেই সেনা উত্থান এবং দেশের প্রেসিডেন্টকে গৃহবন্দি করে রাখার খবর ক্রমাগত ভাইরাল হতে শুরু করেছে। এহেন জল্পনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে।

যদিও এ সংক্রান্ত ভাইরাল ভিডিও কিংবা যে সকল খবর সামনে আসতে শুরু করেছে, তা জল্পনা মাত্র। এক্ষেত্রে সত্য ঘটনা কি, সে সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট কোন ধারনা মেলেনি। তবে চিনের প্রেসিডেন্ট তথা চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান শি জিংপিংকে গৃহবন্দি করে রাখার খবর যদি সত্যি হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে, তবে কি পাকিস্তানের ন্যায় চিন দেশেও সেনা অভ্যুত্থানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলো?

যদিও এ সকল জল্পনা মাঝে বেজিংয়ের তরফ থেকে কোনরকম সরকারি ঘোষণা করা হয়নি। তবে চিন কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনের পূর্বেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি পোস্ট এ সকল জল্পনাগুলিকেই আরো প্রকট করে তুলেছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে চিনা সেনাবাহিনীর প্রধানের পদে বিরাজ করে চলেছেন শি জিংপিং। এক্ষেত্রে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে সকল পদক্ষেপই থাকে চিনা প্রেসিডেন্টের হাতে। তবে সেই প্রেসিডেন্টকেই গৃহবন্দি করে রাখার জল্পনা উঠতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বিশ্বজুড়ে।

সম্প্রতি চিনা মানবাধিকার কর্মী জেনিফার জেঙ একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়িকে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “লাল ফৌজের সামরিক বাহিনী গত ২২ শে সেপ্টেম্বর বেজিংয়ের উদ্দেশ্যে অগ্রসর হয়েছে। হুয়ানলাই কাউন্টি থেকে ঝাংজিয়াকো শহরে শেষ হয়েছে কনভয়। সম্ভবত শি জিংপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।” একইসঙ্গে তাঁকে চিনা সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়কের পদ থেকেও সরানো হয়েছে বলে দাবি করেন জেনিফার।

অপর একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, বর্তমানে চিনে সেনার উত্থান ঘটেছে। তবে এ সংক্রান্ত খবর আদতে কতখানি সত্য, সে প্রসঙ্গে এখনো সুস্পষ্ট কোন ধারণা মেলেনি।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর