বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার গুজরাটের হনসলপুর প্ল্যান্টে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) মোটরের হাইব্রিড ব্যাটারি ইলেকট্রোডের লোকাল প্রোডাকশন ইউনিটের উদ্বোধন করেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী মারুতি সুজুকির প্রথম গ্লোবাল ব্যাটারি ইলেকট্রিক SUV, ই-ভিটারারও উদ্বোধন করেন। এই মডেলটি ভারতে তৈরি হবে এবং ইউরোপীয় দেশ সহ জাপানের মতো প্রধান বাজার ছাড়াও ১০০ টিরও বেশি দেশে রফতানি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
Maruti Suzuki-র বহু প্রতীক্ষিত বৈদ্যুতিক SUV:
অনুষ্ঠানের আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই উদ্বোধনকে ভারতের আত্মনির্ভরতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, যে, ই-ভিটারা (Maruti Suzuki) দেশের বৈদ্যুতিক যানবাহণের ইকোসিস্টেমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেন যে গুজরাটে ইলেকট্রোড প্রোডাকশন শুরু হলে ডোমেস্টিক ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ই-ভিটারা (Maruti Suzuki) একটি গ্লোবাল ইলেকট্রিক SUV হিসেবে পেশ করা হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ৪,২৭৫ মিমি, প্রস্থ ১,৮০০ মিমি, উচ্চতা ১,৬৪০ মিমি এবং এর হুইলবেস ২,৭০০ মিমি। এই বৈদ্যুতিক SUV-তে একটি থ্রি-ইন-ওয়ান বৈদ্যুতিক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। যা মোটর, ইনভার্টার এবং ট্রান্সমিশনকে ইন্টিগ্রেট করে।
আরও পড়ুন: বছরে নেন ৬ মাসের বিশ্রাম! তবুও বেতন ২৭ কোটি! বিশ্বজুড়ে দাপট এই ক্রিকেটারের
২ টি ব্যাটারি প্যাকের অপশন: এক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে ২ টি ব্যাটারি প্যাকের (Maruti Suzuki) অপশন থাকবে। একটি ৪৯ kWh ইউনিটের। যা ১৪৪ hp এবং ১৮৯ Nm উৎপন্নকারী ফ্রন্ট-মোটরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। অন্যটি বৃহত্তর ৬১ kWh ইউনিটের। যেটি ১৭৪ hp এবং ১৮৯ Nm উৎপন্নকারী ফ্রন্ট মোটরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য, বৃহত্তর ব্যাটারিটি অল-হুইল-ড্রাইভ (AWD) সেটআপের সঙ্গে ৬৫ hp-র রিয়ার মোটর যুক্ত করা হবে। এই AWD ভেরিয়েন্টটি 184hp এবং 300Nm-এর সম্মিলিত আউটপুট তৈরি করে। যেখানে বৃহত্তর ব্যাটারি প্যাকটি একবার চার্জে 500 কিলোমিটারেরও বেশি ড্রাইভিং রেঞ্জ উপলব্ধ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ISL নিয়ে কাটবে জট? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সম্পন্ন হল আলোচনা, কী জানাল ফেডারেশন?
মিলবে দুর্দান্ত আফটার সেল সার্ভিস: জানিয়ে রাখি যে, মারুতি সুজুকির (Maruti Suzuki) ই-ভিটারা একটি শক্তিশালী চার্জিং এবং পরিষেবা নেটওয়ার্কও তৈরি করবে। গ্রাহকরা স্মার্ট হোম চার্জার এবং ইনস্টলেশনের সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষ ১০০ টি শহরে প্রতি ৫-১০ কিলোমিটার অন্তর পাবলিক ফাস্ট-চার্জিং পয়েন্ট স্থাপন করা হবে। আফটার সেলস সার্ভিস আরও জোরদার করার জন্য, কোম্পানিটি ১,০০০ টিরও বেশি শহরে ১,৫০০ টি ইভি রেডি ওয়ার্কশপ স্থাপন করবে বলেও জানা গিয়েছে।