বাকস্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ করেছিলেন ডেরেক, প্রধানমন্ত্রী বলেন উনি বাংলায় থাকেন বলেই সবসময় এসব দেখেন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল হলদিয়ার জনসভা থেকে রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এলেও আসেন নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৩ জানুয়ারি তিনি বাংলায় এসেছিলেন তিনি, তবে ওনার সেই একদিনের সফর ছিল সম্পূর অরাজনৈতিক। আর এবার গতকাল হলিদয়ার জনসভা থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের শুভারম্ভ করেন। গতকালের সভার পর আজ রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ ছিল। সেখান থেকেও তিনি তৃণমূল সহ সমস্ত বিরোধী দলগুলোকে কটাক্ষ করেন।

লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের আগে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের দেওয়া ভাষণ বয়কট করেছিলেন বিরোধী দুই সাংসদরা। আর আজ রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করা নিয়ে বিরোধীদের একহাতে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ শোনার জন্য সবাই থাকলে ভালো হত। তবে রাষ্ট্রপতির ভাষণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, বয়কট করলেও বিরোধীদের কানে তা পৌঁছে গিয়েছে। বিরোধীদের পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব জিনিসের বিরোধী করলে দেশের মনোবল ভেঙে যায়।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকেও আজ একহাতে নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিরেকজির কথা শুনছিলাম। উনি নিজের কথায় বাকস্বাধীনতা আর ভীতিপ্রদর্শনের মতো কঠিন শব্দের ব্যবহার করেছিলেন। আমি ওনার কথা শুনতে শুনতে এটাই ভাবছিলাম যে, উনি কি বাংলার কথা বলছেন? না ভারতের কথা? আসলে উনি এসব ২৪ ঘন্টাই বাংলায় দেখছেন আর শুনছেন। তাই হয়ত উনি এখানে ভুল করে এই কথা বলে ফেলেছেন।”

নিজের ভাষণে বাংলায় PM KISAN সন্মান নিধি যোজনা কার্যকর না করতে দেওয়ায় তৃণমূল সরকারকে তুলধোনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের কোটি কোটি কৃষক Pm Kisan নিধি প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলায় এই প্রকল্প চালু হতে দেওয়া হয়নি। আর শেষ মুহূর্তে চালু করলেও কৃষকদের তালিকা কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসতেই বাংলার কৃষকদের Pm Kisan নিধির বকেয়া টাকা শোধ করা হবে।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর