দেশের সুরক্ষার জন্য যেটা দরকার পড়বে, সেটা শীঘ্রই করা হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীন (China) আর ভারতের (India) মধ্যে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক হচ্ছে আজ। এই বৈঠকে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের দল আম আদমি পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর এই নিয়ে আপ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। যদিও সরকারি মতে, যাঁদের পাঁচটির বেশি লোকসভা আসন আছে, শুধুমাত্র তাদের দলকেই ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে আমন্ত্রিত সব দলের প্রধানরাই অংশ নিয়েছে। আর এই বৈঠকে ভারত আর চীনের সীমান্ত বিবাদ নিয়ে চর্চা হয়েছে।

এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, না ওঁরা আমদের সীমান্তে ঢুকেছিল, না ওঁরা আমাদের কোন পোস্ট দখল করেছিল। আমাদের ২০ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন, কিন্তু যারা ভারত মায়ের দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছিল তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। সেনা মোতায়েন হোক, জবাবি পদক্ষেপ হোক … হাওয়া, জমি অথবা সমুদ্র আমাদের সেনা আমাদের দেশের রক্ষার জন্য যা করার হবে করবে। আয আমাদের কাছে এমন ক্ষমতা আছে যে কেউ আমাদের জমির এক ইঞ্চির উপরেও নজর লাগাতে পারবে না।

আরেকদিকে, আজ এই সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘চীন গণতান্ত্রিক দেশ না, ওঁরা স্বৈরাচারী, ওঁরা সেটাই করে যেটা ওঁদের ইচ্ছে হয়। আর আমরা সবাই একসাথে মিলেমিশে কাজ করি। ভারত জিতবে, চীন হারবে। একতার সাথে বলুন, একতার সাথে চিন্তা করুন, একতার সাথে কাজ করুন।”  উনি আজ পরিস্কার জানিয়ে দেন যে, তিনি সরকারের পাশে আছেন।

সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘সর্বদলীয় বৈঠক দেশের জন্য একটি ভালো বার্তা। এটা দেখায় যে আমরা আমাদের দেশ আর জওয়ানদের পাশে আছি। তৃণমূল কংগ্রেস এই দুঃসময়ে সম্পূর্ণ ভাবে সরকারের পাশে আছে।”

আরেকদিকে, কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আজ এই প্রসঙ্গে বলেন, এই সর্বদলীয় বৈঠক অনেক দেরি করে ডাকা হয়েছে, সরকারের উচিৎ ছিল আরও আগে ডাকা। কংগ্রেসের এই প্রসঙ্গে অনেক প্রশ্ন আছে, আমাদের অন্ধকারে রেখেছে সরকার। উনি সরকারের কাছে প্রশ্ন করে বলেন, চীন কীভাবে অনুপ্রবেশ করেছিল? সরকার কখন চীনের এই কাজের কথা জানতে পারে? সরকারের কাছে কি স্যটেলাইট ইমেজ নেই? সরকারের কাছে কি চীনের গতিবিধি নিয়ে কোন গোয়েন্দা তথ্য ছিল না?

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর