‘আপনি শক্তি স্বরূপা’, বসিরহাটের গৃহবধূ প্রার্থী রেখাকে আচমকাই ফোন মোদীর! কী কথা হল দু’জনার?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ তিনি। শেখ শাহজাহানের অত্যাচারের তোয়াক্কা না করে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন রেখা পাত্র (Rekha Patra BJP)। এবার সন্দেশখালির এই প্রতিবাদী গৃহবধূকেই ভোট ময়দানে দেখতে পাবে রাজ্যবাসী। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে রেখাকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এবার তাঁকে ফোন করে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।

মঙ্গলবার বসিরহাটের প্রার্থীকে (Basirhat BJP Candidate) ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। রেখাকে বলেন, ‘একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠার যাবতীয় গুণ রয়েছে আপনার মধ্যে। নিজের আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে আপনি নিশ্চয়ই দিল্লিতে সাংসদ হয়ে আসবেন’। জানা যাচ্ছে, এদিন রেখার থেকে পশ্চিমবঙ্গ এবং বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের নানান এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে জানতে চান মোদী।

বিজেপি (BJP) প্রার্থী জানান, ২০১১ সাল থেকে এই এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারছে না। নিজেদের মতামত প্রকাশের ক্ষমতা কার্যত হারিয়েছে তাঁরা। প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করবেন নির্বাচন কমিশন এবারের লোকসভা ভোটে এমন ব্যবস্থা করবে যাতে এই আসনের প্রত্যেক মানুষ বিনা বাধায় নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ মমতাকে ‘বাপ’ তুলে আক্রমণ! ভোটের আগেই কড়া পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের! ঘুম উড়ল দিলীপের

রেখা (Rekha Patra) এরপর প্রধানমন্ত্রীকে জানান, শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, বরং পক্ষ-বিপক্ষ উভয়ের হয়েই তিনি কাজ করবেন। সকলের মত পৌঁছনোর কথা বলেন বিজেপি প্রার্থী। সেকথা শুনে মোদী বলেন, রেখা গোটা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত। পাশাপাশি সন্দেশখালির এই প্রতিবাদী গৃহবধূকে ‘শক্তি স্বরূপা’ আখ্যাও দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে রেখার নাম ঘোষণা হতেই সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলাদের একাংশ সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন। কেউ বলেছিলেন, তাঁদের সাহায্যেই আজ রেখা এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন, নাহলে তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর কোনও যোগ্যতা নেই। কারোর মুখে শোনা গিয়েছিল তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা।

pm narendra modi basirhat bjp candidate rekha patra

তবে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সুর বদলাতে শুরু করে। সোমবার যারা রেখার বিরোধিতা করছিলেন মঙ্গলবার তাঁরাই বিজেপি প্রার্থীর পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। কেউ দাবি করেন, তাঁদের ভুল বোঝানো হয়েছিল, কারোর মুখে আবার শোনা যায়, বিজেপি প্রার্থী পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার কথা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর