বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগেই বিজেপির দুই নবাগতা প্রার্থীকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। বসিরহাটের পদ্ম প্রার্থী রেখা পাত্র এবং কৃষ্ণনগরের অমৃতা রায়কে ফোন করে সাহস জুগিয়েছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। তবে এবার কোনও প্রার্থী নন, বরং সরাসরি এক দলীয় কর্মীকে ফোন করেন মোদী।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিকেলেই তাঁর কাছ থেকে ফোন যায় মালদার এক বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যার কাছে। সেই সদস্যার নাম লতিকা হালদার (Latika Halder)। হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা তিনি। এদিন কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের পদ্ম প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত সভার ফাঁকেই লতিকাকে ফোন করেন মোদী।
খোদ প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi) থেকে ফোন পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত বিজেপির এই পঞ্চায়েত সদস্যা। আজ হবিবপুরের কেন্দপুকুরে সভা করার কথা আছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে হাজির হয়েছিলেন লতিকাও। মোদীর সঙ্গে ফোনে কী কথোপকথন হল সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘সন্দেশখালির দোষীদের সাজা হবেই’! কোচবিহারের সভা থেকে রাজ্য সরকারকে কেন ধন্যবাদ মোদীর?
দলীয় সূত্রে খবর, এদিন লতিকাকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, তৃণমূল কোনও অত্যাচার করছে না তো? হিংসা ছড়ানো হচ্ছে কিনা সেটাও জানতে চান তিনি। এরপর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পিএম মোদীর থেকে ফোন পেয়ে ভীষণ খুশি লতিকা।
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি মহিলাদের একত্রিত করছেন, সেই কারণে শাসক দলের কেউ সাহস পাচ্ছে না। দলের কার্যকর্তা হিসেবে মহিলাদের সংগঠিত করার কাজ দিচ্ছেন বলে জানান লতিকা।
লতিকাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করার বিষয়ে উত্তর মালদার পদ্ম প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, ‘এটাই হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যন্ত গ্রামের একজন দলীয় কর্মী কেমন আছেন উনি সেটারও খোঁজ রাখেন। একইরকমভাবে গ্রামবাসীদের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও নিজের যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন তিনি’।