বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), গোটা দেশ চলে তাঁর কথায়। দিনভর নানা কাজে ব্যস্ত শিডিউল তাঁর। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিষয়টা যখন দেশের খুদে সদস্যদের নিয়ে তখন তাঁদের জন্য অল্প সময়ের জন্য হলেও ঠিক সময় বার করেই ফেলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নামে এখন ৭০ তাঁর ভিতরেই কোথাও না কোথাও এখনও কোথাও না কোথাও রয়ে গেছে শিশুসুলভ স্বত্তা।
তাঁকে ঘিরে গোটা দেশবাসীর মনের মধ্যেই রয়েছে এক আলাদাই উন্মাদনা। শুধুমাত্র চোখের সামনে তাঁর এক ঝলক পাওয়ার জন্য মুখিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন একাধিক মানুষ। তবে ইচ্ছা তো অনেকেরই কিন্তু আদতে সেই ইচ্ছে পূরণ হয় কজনের! প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগী এমনই এক শিশু হলেন মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের বাসিন্দা ১০ বছরের ছোট্টো অনিশা (Anisha)।
একেবারে নিষ্পাপ শিশুর মতোই সে তার বাবার কাছে আবদার জানিয়েছিল সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করতে চায়। কিন্তু প্রথমে তার কথার আমল দেয়নি কেউ। কিন্তু অনিশার তো জেদ সাঙ্ঘাতিক। তাই সে সে মুহূর্তের মধ্যে ঠিক করেই ফেলে যে সে তার প্রিয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করেই ছাড়বেন।
আর তাই বাবা মা যখন কাজে ব্যস্ত ছিলেন তখন তাঁদের অজান্তেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি ইমেল (E-mail) পাঠিয়ে দেয় ছোট্টো অনিশা। সেই মেলে সে লেখে ‘আমি আনিশা। প্রধানমন্ত্রী, আমি আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ খুদের সেই মেল পেয়ে জবাব দিতে দেরি করেননি প্রধানমন্ত্রী নিজেও। এমনিতেই শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ সর্বজনবিদিত। ব্যতিক্রম নয় অনিশাও। তার পাঠানো মেলের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী লেখেন , ‘দৌড়ে চলে এসো।’
উল্লেখ্য অনিশার বাবা সুজয় ভিখে প্যাটেল মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের সাংসদ ৷ অনিশার দাদু মহারাষ্ট্রের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রাধাকৃষ্ণ ভিখে প্যাটেল৷ কিন্তু তার পরেও প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যস্ত মানুষের সাথে মেয়ের দেখা য় করার ইচ্ছা যে এত সহজে পূর্ণ হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তাঁরা।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ই-মেল পাওয়ার পর আর দেরি করেননি তারা। ই ছোট্ট আনিশাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে ছোটেন তাঁর বাবা-মা। সেখানেই অনিশার সাথে ১০ মিনিটের জন্য দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী।সেই সাক্ষাৎ পর্বে খেলা থেকে শুরু করে নিজেদের ব্যক্তিগত শখ, পছন্দ, নানা বিষয়ে অনিশার সঙ্গে গল্পে মেতে ওঠেন খোদ প্রধানমন্ত্রী৷