বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে পৌঁছেই এক বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) স্মৃতিচারণ করে তিনি জানান, ১৯২৪ সালে গুরুদেব আর্জেন্টিনা সফরে এসে দেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তাঁর শিক্ষা, সাহিত্য ও দর্শনের প্রভাব আজও এই দেশে অনুভব করা যায়। মোদীর এই শ্রদ্ধার্ঘ্য ভারতীয় সংস্কৃতিকে ফের আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে স্মরণ মোদীর (Narendra Modi)
প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, “গুরুদেব ঠাকুর শিক্ষার উপর যে জোর দিয়েছিলেন, তা আজও আমাদের পথ দেখায়।” তিনি জানান, ভারতবাসী হিসেবে আমরা গর্বিত যে এমন এক মনীষী আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অংশ। রবীন্দ্রনাথের আগমনের শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে তাঁর এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আর্জেন্টিনার বহু ছাত্রছাত্রী এবং গবেষকদের মনে আজও রবীন্দ্রনাথের ছাপ স্পষ্ট। মোদীর এই বক্তব্য ভারত-আর্জেন্টিনা সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিল।
গুরুদেবের প্রতি এই সম্মান জানানোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শুধু অতীতকে স্মরণ করলেন না, ভবিষ্যতের সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনের বার্তাও দিলেন। বিশ্বমঞ্চে যখন রাজনৈতিক কূটনীতির সঙ্গে সঙ্গে সংস্কৃতি ও ইতিহাসের গুরুত্ব বাড়ছে, সেই সময় মোদীর এই পদক্ষেপ কৌশলগত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২৬ সালে রবীন্দ্রনাথের আর্জেন্টিনা সফরের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারত সরকার বিশেষ অনুষ্ঠান করবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আর্জেন্টিনার নানা শহরে সেই সময় হবে কবিকে ঘিরে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি। এই উদ্যোগ ভারত-আর্জেন্টিনা সম্পর্ক (India-Argentina relationship) আরও দৃঢ় করবে।
আরও পড়ুনঃ মোদীর তোপে জ্বলছে ইসলামাবাদ! পাকিস্তানকে নিশানা করেই ব্রিকস মঞ্চে বারুদ ছুড়লেন প্রধানমন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত মনীষীকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বুঝিয়ে দিলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেবল অতীতের বিষয় নয়, এগুলিই ভবিষ্যতের দিশা। তাঁর এই বক্তব্য শুধু এক জননেতার নয়, এক সংস্কৃতি-বোদ্ধার বার্তা।