বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত ২০১৯ সালে একটি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক (PMC Bank Crisis)। আর্থিকভাবে চাপে থাকা রিয়েল এস্টেট সংস্থা হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার-কে ঋণ দেয় এই ব্যাঙ্ক। কিন্তু তারা সেই ঋণ শোধ করতে না পারায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পিএমসি। বেশ কিছু ঋণ অ্যাকাউন্টে অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে পিএমসি-র আর্থিক কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গ্রাহকদেরও টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, পিএমসি ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ হাজার টাকা তুলতে পারবেন। পরে সেটিকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়। এর ফলে বিপদে পড়েন আমানতকারীরা। ব্যাঙ্কে থাকা নিজেদের অর্থ তুলতে না পেরে আদালতের দারস্থ হন তাঁরা।
আমানতকারীরা আদালতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আবেদন করেন। তবে সম্প্রতি তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির আদালত। বিচারপতি প্রতীক জালান ৩০ নভেম্বর তাঁর রায়ে জানান, আমানতকারীদের প্রতি আদালত সহানুভূতিশীল। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জারি করা নিষেধাজ্ঞা থেকে এই মুহূর্তেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। সে জন্য এই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
আদালত এ দিন জানায়, ২০১৯ সালে প্রথমবার পিএমসি ব্যাঙ্ককে প্রতিটি সেভিংস, কারেন্ট বা ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট থেকে ১ হাজার টাকার বেশি ছাড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে ব্যাঙ্কের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে সেই সীমা বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়। জানা যাচ্ছে, একাধিক মানুষের আর্থিক কেলেঙ্কারির জন্য ব্যাঙ্কের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারবেন তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে।
আমানতকারীরা এই বিবৃতিকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ একত্রিত ভাবে ৯০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে। আবেদনকারীদের বক্তব্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপকে স্বেচ্ছাচারী আখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এর ফলে নির্দোষ আমানতকারী, বিশেষত প্রবীণ নাগরিকরা নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিতে পারছেন না। যদিও আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।