বিষ মাখানো প্যাকেট পাঠানো হয়েছিল ট্রাম্পকে, আধিকারিকদের তৎপরতায় রক্ষা পেলেন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগামী নভেম্বরেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald trump) বনাম জো বিডেন সামিল হয়েছে। আমেরিকার এই দুই মহান নেতাই করোনা আবহের মধ্যে নিজদের মত করে প্রচার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ নিজের একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ।

ট্রাম্পকে পাঠানো হয়েছে বিষাক্ত পার্সেল
কিন্তু নির্বাচনের পূর্বেই আমেরিকায় ঘটে গেল এক আতঙ্কজনক ঘটনা। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কেউ বিষ মাখানো পার্সেল উপহার দিয়েছিল। কিন্তু সেই উপহার রূপী মৃত্যু ট্রাম্পের কাছে যাবার পূর্বেই পরীক্ষা করেন আধিকারিকরা। সাধারণ ভাবেই হোয়াইট হাউসে আগত সমস্ত পার্সেলই প্রথমে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সন্দেহ ভাজন পার্সেল পৃথক রাখা হয়।

donaldtrumpwhistleblower 1

পরীক্ষায় বিষের অস্তিত্ব ধরা পড়ে
মার্কিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা, ট্রাম্পকে বিষ দেওয়ার এই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। হোয়াইট হাউসের উচ্চ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের নামে একটি পার্সেল আসে। সেটা পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে, তাতে রিসিন নামক একটি প্রাণঘাতী বিষের অস্তিত্ব রয়েছে। তৎক্ষণাৎ সেই পার্সেল অন্যান্য জিনিসের থেকে পৃথক করে বিষ নিস্ক্রিয় করা হয়।

কোথায় ব্যবহৃত হয় এই বিষ?
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে কোন কাগজ বার পার্সেল যাই আসুক না কেন, তা প্রথম পরীক্ষা করা হয়। পার্সেল, চিঠি সমস্ত কিছুই পরীক্ষা করে, তবেই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। এই রিসিন একটি খুবই মারাত্মক বিষ। এই বিষ ক্যাস্টর অয়েল থেকে তৈরি করা হয় এবং যার উপর প্রয়োগ করা হয় তাঁর ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু অনির্বায। এটি পাউডার, ট্যাবলেট বা অ্যাসিড রূপে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের বিষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবহার করা হয়।

47979a2044273dd35785494fe835218f

তদন্ত চলছে
মার্কিন আইন প্রয়োগকারী এক কর্মকর্তা আমেরিকান নেটওয়ার্ককের মাধ্যমে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের জন্য আগত এই পার্সেল সম্ভবত কানাডা থেকে এসেছে। তবে এই পার্সেল ঠিক কোথা থেকে এসেছে এবং কারা পাঠিয়েছে সমস্ত কিছু তদন্ত করা হচ্ছে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর