বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসানসোল (Asansol) চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে বড় সাফল্য পুলিশের। ঝাড়খণ্ডে পালানোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়লেন মূল অভিযুক্ত তহসিন আহমেদ। জানা গিয়েছে, তহসিনের বিরুদ্ধে ৩৫০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে অনুসরণ করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। অবশেষে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের চন্দ্রচূড় মন্দির মোড়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পুলিশের হাতে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ অফিসারের অভিযোগে ফাঁস আসানসোলের (Asansol) প্রতারণার জাল
জানা যায়, আসানসোলের (Asansol) এই চিটফান্ড প্রতারণার পর্দা ফাঁস হয় এক অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ অফিসারের অভিযোগে। তিনি জানান, প্রথমে ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ভালো রিটার্ন পান। এরপর ৪১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেও আর সুদ পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ দায়েরের পর একে একে সামনে আসেন অন্য প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা। প্রায় ৩ হাজার লগ্নিকারী তহসিনের বিরুদ্ধে সরব হন। ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা তহসিনের বাড়ি ও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, কোটি কোটি টাকার প্রতারণার নেপথ্যে ছিল এই তহসিনই।
এর আগেই এই ঘটনার সূত্র ধরে মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু’দিন আগে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তহসিনের একটি ক্ষমা প্রার্থনার ভিডিয়ো শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, তহসিন বিনিয়োগকারীদের কাছে টাকা ফেরত দিতে না পেরে কাঁদছেন এবং ক্ষমা চাচ্ছেন। ভিডিয়ো পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, “আসানসোলে বিশাল চিটফান্ড জালিয়াতি ঘটেছে। এই চক্রের মূল মাথা তহসিন আহমেদ, যিনি তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদের ছেলে। প্রায় ৩০০০ মানুষের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এই গোষ্ঠী।”
রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া তহসিনের বাবা শাকিল আহমেদ তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা। তবে তৃণমূলের তরফে দাবি, শাকিলের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। আসানসোল (Asansol) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৈয়দ মাহফুজুল হাসান বলেন, “শাকিল আহমেদ আগে আমাদের সহ-সভাপতি ছিলেন, কিন্তু এখন তাঁর কোনও পদ নেই।” ফলে, ঘটনার রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে মরিয়া শাসক দল।

আরও পড়ুনঃ ‘সম্ভবত আমি ডেবরাতেই লড়ব এবং জিতব’, আত্মবিশ্বাসী ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তহসিনের আর্থিক লেনদেনের নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া সোনা ছাড়াও একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। পুলিশ অনুমান করছে, প্রতারণার টাকা বিভিন্ন রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। শিগগিরই আসানসোলের (Asansol) এই ঘটনায় আরও গ্রেপ্তার হতে পারে বলে খবর সূত্রের।













