বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেশায় শান্তিপুরে রাজ্য পুলিশের জুনিয়র কনস্টেবল সঞ্জিত সরকার। তবে এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয়, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের (Trinamool youth Congress) সম্পাদক পদে নাম রয়েছে তার। একজন সরকারি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে শাসকদলের তালিকায় তার নাম? এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। শুরু রাজনৈতিক তরজা। পুলিশের মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছে গণতন্ত্র, সঞ্জিতের উদাহরণ দিয়ে এমন অভিযোগ নিয়েও সরব বিরোধী শিবির।
শান্তিপুরের পাবনা পাড়ার বাসিন্দা তৃণমূলের ওই পুলিশ কর্মী (Police) সঞ্জিত বর্তমানে নদিয়া জেলার শান্তিপুরে (Santipur) কর্মরত। গত ২০ এপ্রিল শান্তিপুরের ব্লক-বির তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রকাশ হওয়া পূর্ণাঙ্গ তালিকায় ১৫ জন সম্পাদকের মধ্যে একজন এই সঞ্জিত। বিষয় সামনে আসতেই শোরগোল। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি শিবির।
এই নিয়ে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার শাসকদলকে আক্রমণ করে বলেন, “পুলিশের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে যে প্রভাবিত করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমরা আগেও অভিযোগ করেছিলাম। তবে এই ঘটনায় নতুন করে সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হল। আমরা প্রশাসনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।” তার আরও সংযোজন, “তৃণমূল আর প্রশাসন এখন একই ব্যাপার।”
তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কনস্টেবল সঞ্জিত সরকার বলেন, “গত ৮ বছর ধরে আমি রাজ্য সরকারি কর্মী। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই আমি। হঠাৎ করেই জানতে পারলাম তৃণমূলের যুব কমিটিতে আমার নাম রাখা হয়েছে। কীভাবে আমার নাম ওই তালিকায় এল, তা আমি জানি না। আর নাই আমার অনুমতি নিয়ে এ কাজ করা হয়েছে।”
প্রতিক্রিয়া এসেছে শাসকদলের পক্ষ থেকেও। এই বিষয়ে শান্তিপুর ব্লক বি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পরেশ বিশ্বাস বলেন, “খুব শিগগিরই নামটি সম্পাদকের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জেলা কমিটিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
রানাঘাট দক্ষিণের তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতিও একই দাবি করে বলেন, অজান্তেই এমনটা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।