কয়েক কিলো রুপো চুরি করে পালিয়েছিলো স্বয়ং পুলিশ কর্মী! শেষপর্যন্ত এক আইডিয়াতেই ধরে ফেললো পুলিশ

কোনো এক চোর জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে এবং তার পিছনে ধাওয়া করে শেষ পর্যন্ত সেই চোরকে পাকড়াও করেছে পুলিশ, এমন ঘটনা অনেক সময় আমাদের চোখের সামনে উঠে আসে। তবে এবার ঘটলো তার ঠিক উল্টো! স্বয়ং রক্ষকই হয়ে উঠলেন ভক্ষক। সম্প্রতি কয়েক কিলো রুপো নিয়ে পুলিশ কর্মীর চম্পট দেওয়ার খবর শিরোনামে উঠে এসেছে আর এর পরেই গোটা এলাকা জুড়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। স্বয়ং পুলিশ যদি এহেন ঘটনা ঘটায় তাহলে সাধারন মানুষের নিরাপত্তার কি হবে, সেই প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে জনগণকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত 22 শে ফেব্রুয়ারি এক চুরির ঘটনা সামনে আসে। সেই ঘটনা যাকে কেন্দ্র করে ঘটে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা সেই ব্যবসায়ী শ্যামসুন্দর সাউ বলেন, “আমি বড়বাজারে এসেছিলাম রুপো কেনার জন্য। এরপর হাওড়া স্টেশনে ট্রেন ধরতে গেলে সেখানে টিকিট না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বিধান নগর স্টেশন থেকে গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসের টিকিট কাটতে বাধ্য হই। কিন্তু আচমকাই সেখানে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পুলিশের পরিচয় দিয়ে আমাকে থানায় যেতে বলেন;

ওই ব্যবসায়ী আরো অভিযোগ করেন, “পরবর্তীতে ট্যাক্সিতে উঠিয়ে আমাকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরানো হয়। এরপর আচমকা তিন ব্যক্তি এসে আমার কাছ থেকে 20 কেজি রুপোর ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় এবং আমাকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের নিকট ছেড়ে দেওয়া হয়। এক ব্যক্তি বাইকে করে পালিয়েও যায়। এরপরেই আমি পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।” শ্যামসুন্দর বাবুর কাছে অভিযোগ পাওয়ার পরেই উঠে পড়ে বসে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ প্রথমে সংগ্রহ করা হয় এবং এরপর এই ঘটনায় যে মোটরবাইকটি ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা, সেটিও চিহ্নিত করে তারা। সেই মোটরবাইকের সূত্র ধরেই শেষপর্যন্ত এদিন বাগুইহাটি থেকে সোমনাথ দাসকে পাকড়াও করা হয়। এরপরই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, সোমনাথ বাবু আসলে বিধাননগর থানার পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত; এরপরই গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে, বর্তমানে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর