বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলায় হাজারীবাগ মেডিকেলের ছাত্রী (medical student) পূজা ভারতী (puja bharti) খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার নাম করে সকালে বেরিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি না ফেরায় পুলিশের দারস্থ হয় মেডিকেল ছাত্রী পূজা ভারতীর পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার সকালে নিখোঁজ হওয়া ছাত্রীর দেহ মঙ্গলবার সকালে পত্রাতু বাঁধের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিভাবে মৃত্যু হল এই ২২ বছরের এক তরুণীর, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি বলে, বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল পূজা ভারতী। কিন্তু সন্ধ্যের সময়ও বাড়ি না ফেরায়, তাঁর পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে রিপোর্ট লেখায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে,পূজা ভারতী ওই দিন কলেজেই যায়নি। কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে থেকে প্রথমে একটি অটোরিকশায় এবং পরবর্তীতে রাঁচি যাওয়ার জন্য একটি এসি বাসে ওঠে। এটুকু তথ্য এখনও অবধি জোগার করতে পেরেছে প্রশাসন।
পূজা ভারতী কেসের তদন্ত করতে গিয়ে এদিকে আবার মঙ্গলবার ভোরে পত্রাতু বাঁধের কাছে হাত পা বাধা অবস্থায় এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, মৃত তরুণীই হলেন পূজা ভারতী। এবিষয়ে আবারও তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিভাবে পূজা সেখানে গেল? তাঁর সঙ্গে কোন যৌন অত্যাচার হয়েছে কিনা? কিভাবে তাঁকে খুন করা হল এবং কেনই বা তাঁর হাত পা বাঁধা হয়েছিল- সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে ইতিমধ্যেই পূজার দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর কিছু তথ্য জানা বলে মনে করা হচ্ছে।