বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case)। কন্টেনার বা পিকআপ ভ্যানের সাহায্যে মাঝে মাঝেই দেখা যেত গরু পাচার হতে। বীরভূম-মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিকবার সেই খবর সামনেও আসে। তবে এবার গরু পাচারের নতুন পদ্ধতি খুঁজে নিয়েছে পাচারকারীরা। বিহার-ঝাড়খন্ড (Bihar-Jharkhand Border) হয়ে একের পর এক গরু বোঝাই গাড়ি আসানসোলে ঢুকছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসীরা। ঝাড়খন্ড-আসানসোল সীমানায় লাগাতার অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের গ্রেফতারও করছে পুলিস। কিন্তু বাংলায় ঢুকলেই অদ্ভুত ভাবে উধাও হয়ে যাচ্ছে সমস্ত গরু। এমনটাই জানাচ্ছে স্থানীয়রা। তাঁরা মনে করেন পুলিশের মদতেই এই এলাকায় রমরমিয়েই চলছে গরু পাচার। এবং তা চলছে পুলিসের মদতেই।
এলাকাবাসীরা জানান, আসানসোল-ঝাড়খন্ড থেকে গরুপাচার হঠাৎই অনেকগুণ বেড়ে গিয়েছে। ডুবুরি চেকপোস্টের কাছ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে ঝাড়খন্ড পুলিসের। গত দুমাসে প্রায় চারবার গরু বোঝাই পিকআপ ভ্যান আটক করে প্রশাসন। কিন্তু সেই গাড়ি একবার বাংলায় ঢুকতে পারলেই আর গরুপাচারের কোনও বিষয়ই থাকে না। মনে হয় যেন গরুপাচার বলে কিছুই হয়নি।
অপরদিকে আসানসোলের গো-রক্ষা কমিটির বক্তব্য, পুলিশের মদতেই হচ্ছে এই পাচার। পাচারকারীদের কাছে গরু পৌঁছে দেয় স্বয়ং পুলিসই। আর পাচার ধরা পড়লেই তা ধামাচাপা দিতে করা হয় মামলা। গো-রক্ষা কমিটির এক অধিকর্তা জানান, ‘২০১৪-২০১৫ সালে বিভিন্ন সময় আমরা অনেক গরু ধরেছি এখানে। তবে ধরার পর উল্টো কেস খেয়েছি আমরাই। ২০১৪ সালে আমরা প্রায় ১৫০০ গরু ধরেছিলাম এগরা গ্রামে। এরপর ওই গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরজা গ্রামে। তিনদিন পর লাঠিপেটা করে পুলিস। তারপর ৫১ টি লরিতে করে জেসিবি দিয়ে গরু উঠিয়ে পুলিসই নিয়ে চলে গেল বাংলাদেশ। যখন পুলিস-প্রশাসনই এই পাচার কার্যে জড়িয়ে পরে তখন জনতা আর কী করবে?’
বিজেপি জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় জানান, ‘গরু পাচারের সেফ করিডর বানানো হচ্ছে আসানসোলকে। দিলীপ ঘোষ সঠিক দাবি করেছেন। সব সময় সাধারণ মানুষেরই চোখে পড়ে পাচার?পুলিশ কখনও কিছু করতে পারে না? পুলিশ এখানে চুপ থাকে শুধুমাত্র একটা বিশেষ দলকে খুশি করার জন্য।’ অপরদিকে তৃণমূল ব্লক সভাপতি গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নিরসা ঝাড়খন্ড এলাকার। আমাদের কাছে খবর আছে বিহারের চসা থেকে এই গরু আমদানি হয়। তাই আগে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এই সকল জায়গা থেকে গরুপাচার বন্ধ করুক সেখানের সরকার।’