বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষের করা একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তবে এর মাঝে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার কারণে দায়ের করা একটি মামলায় স্বস্তি পেলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি (BJP) নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো নোটিস বর্তমানে প্রত্যাহার করে নিল নন্দকুমার (Nandakumar) থানার পুলিশ। এক্ষেত্রে হাইকোর্টে রক্ষাকবচ থাকার কারণে নোটিসটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার বুকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে এই সকল মামলাগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য দেওয়া হয়ে চলেছে বলে অতীতে একাধিকবার দাবি করেন বিজেপি নেতা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পুজো মণ্ডপে গিয়ে ঘৃণাভাষণ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে আবু সোহেল নামে এক আইনজীবী বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে নন্দকুমার থানার তদন্তকারী আধিকারিক শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠালে অপরদিকে শুভেন্দুর আইনজীবীর তরফ থেকে জানানো হয়, “আমার মক্কেল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে থানায় গিয়ে হাজিরা দেবেন।” পরবর্তীতে পুনরায় একটি নোটিস পাঠিয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন ওই তদন্তকারী অফিসার।
সূত্রের খবর, দ্বিতীয় নোটিস পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীর তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির একটি নির্দেশিকা তুলে ধরা হয়। উক্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী, একটি বিশেষ ধারার (৪১এ) অধীনে শুভেন্দু অধিকারীকে নোটিস প্রদান করায় নিষেধ করে আদালত আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই এবার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে উক্ত নোটিসটি বাতিল করা হয়েছে বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, “আমার মক্কেল একজন দায়িত্বশীল নাগরিক। প্রতিদিনই ওঁনার বাংলার কোন না কোন প্রান্তে পৌঁছে গিয়ে কর্মসূচি করার থাকে। এছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর হাইকোর্টে রক্ষাকবচ রয়েছে। এ সকল বিষয় পুলিশকে জানানোর পর ইতিমধ্যেই নোটিস প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যে মামলা করা হয়ে চলেছে। এটা তাঁর হয়রানি। সম্প্রতি নন্দকুমার থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে হাইকোর্টে রক্ষাকবচের বিষয়ে পুলিশকে জানানোর পর সেই নোটিসটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।”