৮৩ বছর বয়সী বিদেশি মহিলার প্রেমে হাবুডুবু ২৮ বছরের পাকিস্তানি যুবক! সম্পন্ন হলে বিয়েও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে সমস্ত বাধা এবং গন্ডীকে অতিক্রম করে ফেলে তারা। এমনকি, সেখানে থাকে না বয়সের বেড়াজালও। কারণ, সেখানে দুই মনের মিলনই সবার আগে প্রাধান্য পায়। এমতাবস্থায়, এক নজিরবিহীন “প্রেমের কাহিনি” সামনে এল এবার। যেটি শুনে হুঁশ উড়ে যাবে প্রত্যেকেরই। মূলত, পাকিস্তানে (Pakistan) ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গিয়েছে, সে দেশের ২৮ বছরের এক যুবক প্রেমে পড়ে যান পোল্যান্ডের ৮৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার সাথে। হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক ওই ঘটনাই এবার ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই তাঁরা তাঁদের প্রেমকে সম্মান জানিয়ে বিয়েও করে ফেলেছেন। মূলত, “বয়ফ্রেন্ড”-কে বিয়ে করতে সুদূর পোল্যান্ড থেকে পাকিস্তানে পৌঁছেছিলেন ওই মহিলা।

খবর অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের হাফজাবাদের কাজিপুরে ওই মহিলা এবং ২৮ বছর বয়সী হাফিজ নাদিমের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এমতাবস্থায়, বিয়েতে তাঁরা দু’জনেই খুব খুশি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকি, বিয়ের এক বছর পর ওই দম্পতির একটি সাক্ষাৎকারও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তাঁদের দু’জনকেই একাধিক প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দিতে দেখা গিয়েছে।

পোল্যান্ড থেকে আসেন ওই মহিলা: জানিয়ে রাখি যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মারফত পরিচয় হয় ওই দু’জনের। তারপরেই ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পাশাপাশি, তাঁরা একসাথে থাকার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। এমতাবস্থায়, ধৈর্য ধরতে না পেরে পোল্যান্ডের বাসিন্দা ওই মহিলা সরাসরি পাকিস্তানে পৌঁছে নিয়ম মেনে নাদিমকে বিয়ে করে নেন।

ফেসবুকই মিলিয়েছে তাঁদের: ওই দম্পতির প্রেমের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে ফেসবুকের। কারণ, সেখান থেকেই তাঁরা পরিচিত হন। এদিকে, ওই মহিলার বয়স ৮৩ বছর হওয়া সত্ত্বেও তিনি নাদিমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সংসারজীবনেও প্রবেশ করেন।

WhatsApp Image 2022 11 05 at 6.43.47 PM

বরের রয়েছে ব্যবসা: প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, নাদিম পাকিস্তানের কাজিপুরে ব্যবসার কাজে যুক্ত রয়েছেন। মূলত, তাঁর স্পেয়ার পার্টসের ব্যবসা রয়েছে। এদিকে, বর্তমানে ওই দম্পতি মন দিয়ে সংসারজীবনে প্রবেশের পাশাপাশি তাঁরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে, তাঁদের এই বৈবাহিক সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসতেই অবাক হয়েছেন সকলেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর