সবটাই ঘটেছিল পরিকল্পনা মাফিক, কসবা কাণ্ডে মনোজিতের কীর্তি ফাঁস CCTV ফুটেজে! চাঞ্চল্যকর দাবি চার্জশিটে

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কসবা কাণ্ডে (Kasba Law College) পুলিশের পেশ করা চার্জশিট থেকে প্রকাশ্যে একাধিক বিষ্ফোরক তথ্য। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ঘটনার দিন অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিনী দুজনেই উপস্থিত ছিলেন কলেজে। আলিপুর আদালতে পেশ করা পুলিশের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, মনোজিৎ মিশ্র, জৈব আহমেদ, প্রমিত মুখোপাধ্যায় এবং নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী মুখোপাধ্যায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল।

কসবা (Kasba Law College) গণধর্ষণ কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ

চার্জশিটে পুলিশের দাবি অনুযায়ী, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ইউনিয়ন রুমে মনোজিৎ যখন নির্যাতিতাকে আটকে রাখেন তখন জৈব এবং প্রমিত সেখান থেকে বেরিয়ে এক্সহস্ট হোল এবং জানলা দিয়ে ভেতরে উঁকি দেন। চার্জশিট অনুযায়ী, ফুটেজে এও দেখা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যখন গার্ড রুম ব্যবহার করছেন, তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইউনিয়ন রুমের (Kasba Law College) দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। চার্জশিটে এও উল্লেখ রয়েছে, নির্যাতিতা পালানোর চেষ্টা করলেও মেন গেট বন্ধ থাকায় পারেননি, যা তাঁর আগের দাবিকেই মান্যতা দেয়।

Police submitted chargesheet in kasba law college incident

কী দেখা গিয়েছে ফুটেজে: পুলিশের চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত নটা দশ নাগাদ তিন অভিযুক্ত বলপূর্বক নির্যাতিতাকে গার্ড রুমের দিকে নিয়ে আসছেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৫ জুন দুপুর ১২ টা ১০ নাগাদ আরও অনেকের মতোই ফর্ম ফিলাপ করতে ইউনিয়ন রুমে (Kasba Law College) গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা তরুণীকে স্টুডেন্ট ইউনিয়নের গার্লস সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা করেন। এমনকি তাঁর আনুগত্যের প্রমাণ চেয়ে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু নির্যাতিতা তা ফিরিয়ে দেন। এরপরেই তাঁকে বাধা দিয়ে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন : উৎসবের মরশুমে ঢালাও লাভ যাত্রীদের, নতুন জিএসটিতে কমল রেল নীর-এর দাম

মনোজিতের পর্দা ফাঁস সিসিটিভি ফুটেজে: চার্জশিটে উল্লেখ, সবটাই পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছিল অভিযুক্তরা। প্রমিত ও জৈব ইউনিয়ন রুম থেকে বেরিয়ে দরজা আটকে দিলে মনোজিৎ (Kasba Law College) নির্যাতিতাকে ভয় দেখাতে থাকেন। এমনকি নিজের প্রতিপত্তি খাটিয়ে তাঁর বয়ফ্রেন্ডকে খুন করে দেওয়ার এবং তাঁর মা বাবাকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান বলে অভিযোগ। মনোজিৎ ধর্ষণের চেষ্টা করায় শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে নির্যাতিতার। সে সময় একটি ইনহেলার এনে দেওয়া হয় তাঁকে। প্রমাণ লোপাট করতে সেই ইনহেলারের বাক্স সরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুন : শুরু হতে না হতেই বন্ধ রপ্তানি! পুজোর মুখে পদ্মার ইলিশ নিয়ে ধোঁয়াশা, কী দাবি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএনএ রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে যে মনোজিৎই ধর্ষণ করেছিল। নির্যাতিতার পোশাক থেকে প্রাপ্ত বীর্য এবং ডিএনএ স্যাম্পেল মনোজিতের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। তাঁর শরীরে আঁচরের দাগ থেকেও ঘটনার সময় ধস্তাধস্তির প্রমাণ মিলেছে বলে চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে।