বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেরলের (Kerala) পুলিশ কর্মী করোনার কারণে লকডাউনের সময় সমস্যায় পড়া মানুষদের সাহায্যের জন্য মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে বাড়ি বাড়ি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। তাঁরা কেক থেকে শুরু করে অক্সিজেন সিলেন্ডার পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। এক জায়গায় তো সাপ ধরার জন্যও তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ইদুক্কি জেলার আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দা ৪৯ বছরে রোসম্মা নিজের বাড়ির সামনে অক্সিজেন সিলেন্ডার হাতে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিশকর্মীকে দেখে অবাক হয়ে যান। এছাড়াও ত্রিচুরের কেপামঙ্গলম গ্রামের ৬০ বছরের জেন্সির ঘরের সামনে কেরল পুলিশ কেক হাতে দাঁড়িয়ে ছিল। যেটা দেখে জেন্সি অবাক হয়ে যান।
রোসম্মা বহুবছর ধরে শ্বাস কষ্টে ভুগছে আর কোট্টয়ম মেডিকেল কলেজে প্রায় দুই বছর ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের এক ব্যাক্তির থেকে জানা যায় যে, তিনি গত বছর নিজের বাড়ি ফিরে আসেন আর আদিবাসী বিভাগ ওনার চিকিৎসার খরচ বহন করছে। কিন্তু বিগত চার মাস ধরে বিভাগের তরফ থেকে চিকিৎসা ৪০ হাজার টাকা বাকি ছিল।
লকডাউনের কারণে অক্সিজেন সিলেন্ডার পাচ্ছিল না ওই মহিলা। এরপর আদিমলী পুলিশ ওনার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। আদিমলী পুলিশের এক আধিয়াক্রিক জানান, আমরা ওনার কাছে অক্সিজেন সিলেন্ডার নিয়ে যাই। এই অবস্থায় ওনার এই অক্সিজেন সিলেন্ডারের খুব প্রয়োজন ছিল। আমরা এর সাথে সাথে কিছু খাদ্য সামগ্রীই পাঠিয়েছি। সেগুলো প্রায় দুই সপ্তাহ চলবে।
কেপামঙ্গলম পুলিশ ২৫ এপ্রিল রাতে এক ১১ বছরের বাচ্চা কেরল পুলিশের কাছে অনুরোধ করে বলে যে, তাঁর দিদার জন্য কি একটা কেক পাওয়া যাবে? কারণ তাঁর জন্মদিন। এরপরের দিন সকালে পুলিশ জেন্সির বাড়িতে কেক নিয়ে পৌঁছে যায়। এমনকি ১১ বছরের তাঁর নাতনী যে কাতারে থাকে, তাঁর সাথে ভিডিও কলে কথা বলিয়ে দেয় জেন্সির। পুলিশ কর্মীরা ইতালিতে ফেঁসে যাওয়া বাবা-মায়ের অনুরধে ত্রিশুর জেলায় তিন বছরের বাচ্চা মারিয়া রোজের বাড়িতেও কেক নিয়ে হাজির হয়েছিল।