বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বয়স যে কেবল সংখ্যা মাত্র, সেকথা দিন দুয়েক আগেই খাতায়-কলমে প্রমান করে দিয়েছেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ তথা বিজেপি থেকে অধুনা কংগ্রেস নেতা লক্ষ্মণ শেঠ (Lakshman Seth )। মঙ্গলের সন্ধ্যায় ৭৪ বছর বয়সে মানসী দে নামের মধ্যবয়স্কা এক মহিলার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। বঙ্গ রাজনীতির বিতর্কিত এই নেতাকে নিয়ে চর্চার শেষ ছিলনা একসময়। আর ৭০ এর গন্ডিতে এসে দ্বিতীয়বার বিবাহ (Second Marriage) সারায় ফের লাইমলাইটে তিনি।
গত মঙ্গলবার আইনি মতে বিয়ে সেরেছেন নেতা। সামনে বিয়ের জমকালো অনুষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই বয়সে এসে নেতার বিয়ে নিয়ে পরিবারে যে অসন্তোষ ছিল সে খবর আগেই মিলেছিল। আর এবার বাবার বিয়ে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। লক্ষ্মণবাবুর বড় ছেলে সায়ন্তন শেঠ।
ঠিক কি বললেন তিনি? সায়ন্তন বলেন, “দেড় মাসের আলাপে বাবা যে এইভাবে মালাবদল করে নেবে, সইসাবুদ করে এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে—এ তো আমরা ভাবতেও পারিনি। বাবা আমাদের জানিয়েছিলেন, মাস দেড়েক আগে একজনের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে। একদিন কিছুক্ষণের জন্য ওকে আমাদের সঙ্গে হলদিয়াতে দেখা করাতেও নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তা যে এই জায়গায় পৌঁছবে আন্দাজও করতে পারিনি।”
ছেলের কথায়, “শুনেছি উনি একটি হোটেলে বড় পদে চাকরি করতেন। বিশ্বাস করুন, এর বেশি আর কিছুই জানি না। বাবা তো আমাদের সঙ্গেই থাকেন। আমরা হলদিয়ায় একই বাড়িতে থাকি”। তবে কিছু জানা ছিল না। প্রসঙ্গত, লক্ষ্মণবাবুর প্রথম স্ত্রী তমালিকা পন্ডা শেঠের ২০১৬ সালে হঠাৎ মৃত্যু হয়। এরপর একাই ছিলেন নেতা। আর গত ২৪ মে দ্বিতীয় বার যার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এই মানসী কলকাতার একটি বহুজাতিক হোটেল গোষ্ঠীর এক পদস্থ আধিকারি। ৪২ বছর বয়স তার।
আপাতত আইনি বিবাহ সারলেও আগামী ২৪ জুন বড় করে বিয়ের অনুষ্ঠান করবেন এই দম্পতি। তখন বাঙালি রীতি-রেওয়াজ মেনে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন তারা। লোকজন ডেকে করা হবে প্রীতিভোজের আয়োজনও। তবে ৭৭ বছর বয়সে নেতার হঠাৎ বিয়ে পরিবার মেনে নেয়নি বলেই খবর।