বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাংলার রাজনীতির মঞ্চে এবার চরমে উঠলো মদের তরজা। সৌজন্যে দুই দুঁদে রাজনীতিবিদ, মদন মিত্র এবং শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি সেই বাকবিতন্ডা পৌঁছে গেল শুভেন্দুর বাড়ি পর্যন্ত!
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার। খড়গপুরের একটি সভায় গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে তীব্র আক্রমণ করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। পাশাপাশি, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফার প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন যে, “শুভেন্দু মায়ের লাল হলে নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক। আমি কাল কামারহাটি ছেড়ে দিচ্ছি। ২৯৪ বিধানসভার যে কোনও আসনে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। শের ভুখা মার জায়েগা, লেকিন চুহা নেহি খায়েগা।”
আর এই বক্তব্যের ভিত্তিতেই বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতিক্রিয়া দেন যে,”একটা চিহ্নিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া খুব মুশকিল। ও (মদন মিত্র) চিহ্নিত মাতাল। পশ্চিমবঙ্গের লোক জানে।”
তবে, শুভেন্দুর এই বক্তব্যের ভিত্তিতে পাল্টা উত্তর দিতে ভোলেননি মদন মিত্রও। সরাসরি তিনি জানান যে, “জীবনে প্রথম মদ খেয়েছিলাম শুভেন্দুর বাবার সঙ্গেই। কী যেন একটা ব্র্যান্ড খাইয়েছিল, শিবাস…ফিবাস হবে। শুভেন্দুর বাবা খাইয়েছিল। আমরা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম কেশপুরের দিকে। উনি বললেন খাও। আমি তো খেয়ে প্রায় বমি করে দিচ্ছিলাম।” আর তারপরেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হাসতে হাসতে একটি বাংলা গানের দু’কলি গাইতে শুরু করেন মদন।