বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাশিয়ার আক্রমণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও তা মানেনি রাশিয়া। চুক্তি লঙ্ঘন করে আক্রমণ চালিয়েছে আবারও। এহেন অবস্থায় সপ্তাহান্তেই একটি ব্যক্তিগত ভিডিও কলে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ে আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের কাছে মরিয়া হয়ে যুদ্ধবিমানের আবেদন করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাণ্টটি ব্লিঙ্কেন এই আবেদনে সাড়া দেওয়ার কথাই জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, ইউক্রেনের প্রতিবেশী পোল্যান্ড ইউক্রেনকে সোভিয়েত যুগের যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে এবং বদলে পোল্যান্ডের এই ক্ষতি এফ-১৬এস বিমান দিয়ে পূরণ করবে আমেরিকা। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকেই নিজেদের বিমান বহর আধুনিকীকরণ করছে পোল্যান্ড। ২০২০ সালে প্রথম এফ১৬এস চালনা করা শুরু করার সময়ই তারা ৪.৬ বিলিয়ান ডলারের বদলে ৩২টি এফ৩৫ এর চুক্তি সাক্ষর করে। ২০২৪ সালে প্রথম হাতে আসবে এই বিমান। এর ফলে পুরোনো রাশিয়ান বিমানগুলি অতিরিক্ত থাকবে তাদের কাছে।
যদিও ব্যাপারটি নিয়ে শুরু থেকেই খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি পোল্যান্ড। কারণ রাশিয়া আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীকে সমর্থন এবং সাহায্য প্রদান করলে পোল্যান্ডকেও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবেই দেখা হবে এবং আক্রমনও করা হতে পারে। ফলে রাশিয়ার এহেন হুমকির মুখে পড়েই পিছিয়ে আসছে পোল্যান্ড। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই ইউক্রেনকে সাহায্য করতে অস্বীকার করছে তারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের মিগ ২৯ এবং সু জেট ফাইটার বিমান ব্যবহার করে ইউক্রেনের বায়ুসেনা। কিন্তু বিগত ১২ দিন ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বিমান। তাছাড়াও রাশিয়ার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের কাছে এই বিমান নিয়ে লড়া ক্রমশই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পাইলটরা মার্কিন জেট ফাইটার ওড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত নন, ফলে ইউক্রেনকে নিজেদের যুদ্ধ বিমানও দিতে পারছে না আমেরিকা। এহেন সাহায্যহীন অসহায় অবস্থায় কী হবে ইউক্রেনের পরবর্তী পদক্ষেপ সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।