বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাঁচ বছর নেশা না করেই কাটিয়ে দিলেন পূজা ভাট (pooja bhatt)। একটা সময় মদ ও মাদকের নেশায় চুর হয়ে কেরিয়ারের বারোটা বাজিয়েছিলেন তিনি। রীতিমতো মদ্যপ হয়ে পড়েছিলেন মহেশ ভাটের (mahesh bhatt) বড় মেয়ে। কিন্তু বাবার উপদেশে হুঁশ ফেরে পূজার। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চালাতে থাকেন তিনি।
নেশামুক্তির পাঁচ বছর পূর্ণ করে উদযাপনে মেতেছেন পূজা। ব্রালেটে একটি সাদা কালো ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, সংযত থাকাটাই আসলে সেক্সি। পাঁচ বছর মদ থেকে দূরে থেকে তিনি উচ্ছ্বসিত, একই সঙ্গে কৃতজ্ঞও। নেশা ছাড়ার পর থেকে এক একটি বছর, এক একটি মাস, দিনের হিসাব রাখেন পূজা। এর আগে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রকাশ্যে পান করতাম। এখন প্রকাশ্যেই সংযত থাকার চেষ্টা করি।’
কেরিয়ারের শুরু থেকেই সাহসী হিসাবে নামডাক ছিল পূজার। এমনকি ম্যাগাজিনের কভারের জন্য নিজের বাবা মহেশ ভাটের সঙ্গে লিপলক করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই সঙ্গে মাদক ও মদের নেশাতেও ডুবেছিলেন পূজা। রীতিমতো বিতর্কিত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। ছবি হিট হোক বা ফ্লপ সবেতেই মদ থাকতই তাঁর হাতে। কিন্তু পূজা জানান বাবার থেকে একটি মেসেজ পাওয়ার পরেই তিনি জীবনকে অন্য ভাবে দেখতে শুরু করেন।
https://www.instagram.com/p/CXz8XkWokPP/?utm_medium=copy_link
প্রথম থেকেই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য স্ট্রাগল নিয়ে কোনো লুকোছাপা করেননি পূজা। সমস্যাটা লুকিয়ে ফেলতে চাননি তিনি। পূজা বুঝেছিলেন যে তিনি সর্বনাশা নেশার খপ্পরে পড়েছেন। এর থেকে বেরোনোর জন্য আগে বিষয়টাকে মেনে নিতে হবে।
এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেছিলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘ড্যাডি’। সেখানে এক তরুণী তার বাবাকে নেশার হাতছানি থেকে বেরোতে সাহায্য করে। এমন একটি ছবিতে অভিনয় করেও তিনি নিজেই মদ্যপ! বিষয়টা নিয়ে বহুবার সরব হয়েছেন পূজা। বুঝিয়েছেন যে এই সমস্যাটা যে কারোর হতে পারে। মনের জোর আর অদম্য ইচ্ছার জোরে এত বছর নেশার থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। এই বছর গুলোকে নিজের পুনর্জন্ম হিসাবে দেখেন পূজা।