অ্যামবুলেন্স দাওয়া হলোনা দরিদ্র বাবাকে। মেয়ের মৃতদেহ হাতে ছুটলেন বাবা।

বাংলা হান্ট ডেস্ক :  করিমনগর জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।  সাত বছরের মেয়ে কোমলতার মৃতদেহ নিয়ে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটছেন সম্পত কুমার।  মেয়ের মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে যেতে হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন সম্পত। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুল্যান্স খারাপ বলে এড়িয়ে যায়। হাসপাতালের তরফে বলা হয়, অ্যাম্বুল্যান্স বাইরে থেকে ভাড়া করতে হবে। হতদরিদ্র সম্পতের কাছে অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করার মতো টাকা ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়ে তিনি হাঁটা শুরু করেন। সম্পত কুমারের বাড়ি আবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নিজের জেলা পেড্ডাপল্লির কুনাভরম গ্রামে।এমন মর্মান্তিক ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছেন মানুষ।

IMG 20190905 100227
Img 20190905 100227

সাত বছরেরে মেয়েকে তিনি হারিয়েছেন । এর থেকে বড় শোকের সময় আর কী হতে পারে! মেয়ের মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন সম্পত কুমার। কিন্তু  হতদরিদ্র বাবার সেই অধিকারটুকুও কেড়ে নিল হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাত বছরের মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়েই গ্রামের পথে রওনা হলেন অসহায় বাবা। মেয়ে কোমলতার মৃতদেহ কোলে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি যখন হাসপাতাল চত্ত্বর ছেড়ে রাস্তায় উঠলেন, তখনও কারও মন গলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফিরেও তাকায়নি তাঁর দিকে।

 

হাসপাতাল থেকে  ৫০ কিলোমিটার দূরে সম্পতের গ্রাম। রাস্তা দিয়ে মেয়েকে নিয়ে  যখন কাঁদতে কাঁদতে ফিরছিলেন সম্পত,  এমন সময় এক অটো ড্রাইভার সম্পতের কাছে গোটা ঘটনার বিবরণ শোনেন। তিনিই নিজের অটোয় করে সম্পত ও তাঁর মেয়েকে গ্রামে নিয়ে আসেন।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, সম্পত মেয়েকে গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছিলেন।  তিনি নিজেই মেয়েকে কোলে নিয়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। গোটা ঘটনায় তেলঙ্গানায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় বিরোধীরা সরকার কেই দোষ দিচ্ছেন

 

সম্পর্কিত খবর