বাংলা হান্ট ডেস্ক : ৬ দশকে এই প্রথমবার চিন (China)স্বীকার করলো ঝড়ের গতিতে কমেছে তাদের জনসংখ্যা। গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে গেছে করোনা অতিমারির দাপটে। শুধু ২০২২ সালেই করোনার কারণে জনসংখ্যা কমেছে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। পরিসংখ্যান বলছে এই মুহুর্তে ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র।
এই মুহুর্তে যা পরিস্থিতিতে চিনে মারাত্মক রকম ডেমোগ্রাফিক সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। চিনে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। রেকর্ড মাত্রায় পতন হয়েছে জন্মের হারেও। এর প্রভাব সরাসরি চিনের অর্থনীতির ওপর পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালে চিনে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। গত চার দশকে যা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। অবশ্য এই হ্রাসের পিছনে জনসংখ্যার চেয়ে কোভিডের ভূমিকা অনেক বেশি। চিনের জন্ম হার এবং কর্মক্ষম নাগরিকের সংখ্যার গ্রাফ নিম্নমুখী। অদূর ভবিষ্যতে এটাই হয়ে উঠবে অর্থনৈতিক সংকটের প্রধান কারণ।
২০২২ সালের শেষে চিনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১,৪১,১৭,৫০,০০০। বেজিংয়ের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায় আগের বছরের শেষের তুলনায় এই সংখ্যাটা কমেছে প্রায় ৮.৫ লক্ষ। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে চিনে জন্ম নিয়েছে ৯৫.৬ লাখ শিশু। এদিকে গতবছর চিনে মৃত নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১.০৪ কোটি। এর আগে ১৯৬০ সালে চিনে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। সেবার চিন সম্মুখীন হয়েছিল আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দুর্ভিক্ষের।
২০২৫ সালের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেবে চিন। বর্তমানে কর্মক্ষম জনতার সংখ্যা গত দশকগুলির তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ৬৫-র ওপরের বয়সিদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে চিনা এবার জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপর থেকে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গিয়েছে।