আইআইটিতে টাকার বিনিময়েই চাকরি? হিরণকে নিশানা করে পোস্টার, তোলপাড় খড়গপুর

Published on:

Published on:

Posters Targeting Hiran Chatterjee Create Tension at IIT Kharagpur
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি একটি পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রেলের শহর খড়্গপুরে। সেই পোস্টারেই লেখা আইআইটির শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে নাকি টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়, আর সেই কাজে নাকি জড়িত এলাকার বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। আরও লেখা রয়েছে, আইআইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হিরণের ‘গোপন বোঝাপড়া’ আছে। পোষ্টারের নিচে বড় করে ‘ভারত মাতার জয়’। কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা নিয়ে শহরজুড়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

বিজেপির অনেকের মতে, এই কাজ তৃণমূলের হতে পারে। কিন্তু দলের মধ্যেই আবার অন্য মত। তাঁদের সন্দেহ বিজেপিরই অসন্তুষ্ট কিছু নেতা এই পোস্টার লাগিয়েছেন। অভিযোগ, জেতার পর হিরণকে (Hiran Chatterjee) নাকি চেনাই যায় না। তাঁকে নাকি খুঁজে পাওয়াও কঠিন। দলের এক নেতা মজা করে বলেছেন, “হিরণ মানেই ডুমুরের ফুল, দেখাই মেলে না!”

জবাবে হিরণ (Hiran Chatterjee) বললেন…

অভিযোগ নিয়ে হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee) কিন্তু জড়িয়ে না গিয়ে হেসেই বললেন, “যিনি করেছেন, ভালো করেছেন। এতে আমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আরও পোস্টার লাগুক।” তাঁর এই মন্তব্যেই নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে যে, বিজেপির মধ্যে আসলেই কি বড় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে?

জয়ের পরই বাড়ছিল অসন্তোষ

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে খড়গপুরে বিজেপির উত্থান শুরু। ২০১৯ লোকসভা ভোটে সেই উত্থান আরও শক্তিশালী হয়। তারপর অনেক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। এই সময়েই ২০২১-এ খড়গপুর সদরে প্রার্থী হন অভিনেতা হিরণ (Hiran Chatterjee)। এলাকার মানুষের অভিযোগ, ভোটে জিতলেও পাঁচ বছরে বিধায়কের দেখা মেলে না। এমনকি বিজেপি কর্মীরাও নাকি জানেন না, তিনি এলাকায় আসেন কখন। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যাও এখনও আছে এ নিয়ে হিরণের নিজের ওয়ার্ড থেকেই ক্ষোভ শোনা যায়।

Posters Targeting Hiran Chatterjee Create Tension at IIT Kharagpur

আরও পড়ুনঃ জলসীমা লঙ্ঘন! ভারতে ঢুকল বাংলাদেশি ট্রলার, পাকড়াও ২৯ মৎস্যজীবী

তৃণমূলের মেদিনীপুর জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “বিজেপি মানেই দুর্নীতি। আমাদের কর্মীরা এসব পোস্টার লাগানোর সময় পায় না।” তাঁর দাবি, হিরণের (Hiran Chatterjee)বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিজেপিরই একাংশ। তিনি আরও বলেন, “দলটা আর বেশিদিন থাকবে না, তাই নিজেদের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছে।”