বাংলাহান্ট ডেস্ক : রবিবারের দুপুর মানে জমিয়ে মাংস ভাত খাওয়া। আট থেকে আশি সকলেই অপেক্ষা করেন চিকেন, মাটন নিয়ে জবরদস্ত একটা ভুরিভোজের জন্য। চাল, ডাল, সবজি ও তেলের দাম তো অনেকদিন আগেই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। এবার আম বাঙালির কপালে চিকেনের দামও রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে মুরগির মাংসের দাম, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিমের দামও। এখনো পর্যন্ত কলকাতার বাজারগুলিতে কাটা মুরগির মাংসের দাম ৩০০ টাকা না ছুঁলেও যত দিন যাচ্ছে সে সম্ভবনা বাড়ছে। ইতিমধ্যে কাটা মুরগি কিনতে হলে কলকাতাবাসীকে পকেট থেকে খসাতে সাথে হচ্ছে কমপক্ষে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা।
অন্যদিকে, বাড়ির খুদে সদস্যের ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে বয়স্কদের লাঞ্চ বা ডিনারের মেনু তে ডিম একটা কম্পালসারি আইটেম। ফলে, প্রতিদিন পাতে কমপক্ষে তিন-চারটে ডিম রাখতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ডিমের দামও সাড়ে ৬ টাকা স্পর্শ করেছে। কম বাজেটের সুষম আহার ডিমের দাম রাতারাতি বেড়ে যাওয়ায় চাপ বাড়তে শুরু করেছে আমবাঙালির। অনেকে আবার মজা করেও বলছেন, ‘সানডে হো ইয়া মন ডে, রোজ ‘না’ আন্ডে!’
কিন্তু, এখন প্রশ্ন হল একধাক্কায় কেন বেড়ে গেল চিকেন ও ডিমের দাম? জানা গিয়েছে, তীব্র দাবদাহের কারণে প্রজনন এবং উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বসিরহাট, আরামবাগ,বারুইপুর–সহ বিভিন্ন জায়গার হ্যাচারিতে। তাই সরবরাহের ক্ষেত্রেও ভাঁটা পড়েছে। ফলত, যথেষ্ট পরিমাণে জোগান না থাকার জন্য মুরগির মাংস এবং ডিমের দাম বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে, রথযাত্রার প্রাক্কালে মাংস আর ডিম দুটোর দামের উপরই প্রভাব পড়ায় চরম সংকটে পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। ডিম বিক্রেতাদের দাবি, জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে। এর পাশাপাশি চিকেন বিক্রেতাদের কথায়, প্রতিদিনই যেভাবে দাম চড়া থাকছে, তাতে তাদের বেশি বিক্রি হচ্ছে না। ফলত, হেঁসেলে ডিম মাংস ঢোকানোর আগে গিন্নীরা যে দশবার ভাবছেন একথা বলাই বাহুল্য।