বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী পক্ষ নির্বাচনের আগে প্রচার পর্বে ত্রুটি রাখতে নারাজ কেউই। দিকে দিকে চলছে মিটিং-মিছিল। সম্প্রতি সিপিএমের (CPIM) একটি কর্মসভার আয়োজন করা হয় পূর্ব মেদিনীপুরে (East Midnapore)। সেই কর্মীসভায় বক্তব্য দিতে উঠেছিলেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayan Banerjee)। তার বক্তব্যের মাঝে হঠাৎ করেই দেখা দেয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে সংলগ্ন এলাকা। এরপর কিছু সেকেন্ডের ব্যবধানে ফের বিদ্যুৎ রিস্টোর করার চেষ্টা করেন বামফ্রন্ট কর্মীরা। ফের বিদ্যুৎ চলে আসায় আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে পড়েন কর্মী সমর্থকরা। এরপরেই ওই সভা মঞ্চ থেকে আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “৮৫ হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে সিপিএমকে রুখতে পারেনি, কয়েক ঘন্টার জন্য লোডশেডিং করে এই পার্টিকে রুখবে?” তার এই বক্তব্যের পরেই কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস শোনা যায়।
এরপর তৃণমূলকে আক্রমণ করে সায়ন বলেন, “২০১১ সাল থেকে একটি দল ক্ষমতায় রয়েছে। ২০২৩ সাল হয়ে গেল। আমরা তো শূন্য। আমরা বিধানসভার অভ্যন্তরে শুন্য, পশ্চিমবাংলা থেকে লোকসভার অভ্যন্তরে শূন্য, এই জেলার জেলা পরিষদ চালায় তৃণমূল কংগ্রেস, এই জেলার সব পৌরসভা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল চালায়, গোটা রাজ্য চালাচ্ছে পিসি। কিন্তু একটা সময় এই এলাকা থেকে যে সকল তৃণমূল কর্মীরা দিদিকে সমর্থন করেছিলেন তারা আজ কোথায়? চোখ খুলে দেখুন যে দিকে দু চোখ যায় সেদিকেই লাল ঝান্ডার সমাবেশ। সবাই আমাদের দিকে আসছেন। ধৈর্য রাখুন, পিসি-ভাইপো ছাড়া ওই দলে আর কেউ থাকবে না। উঠে যাবে তৃণমূল কোম্পানি।”
এরপর রীতিমতো হুংকারের সুরে সায়ন বলেন, এখনো সময় রয়েছে। শুধরে যান। আপনারা যে জুলুমবাজি করেছেন, অপরাধ করেছেন, তাতে কয়েকদিন পর বুকে পোস্টার লাগিয়ে ঘুরতে হবে “আমি তৃণমূল করি না” লিখে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আমাদের দল ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল। এই জায়গা থেকে তৃণমূল তাদের বিজয় রথ শুরু করেছিল। ২০০৮ সালে আমাদের কর্মীদের খুন করে বিভিন্ন জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল। আমাদের শপথ করতে হবে যে মেদিনীপুরের মাটি থেকে তৃণমূলের বিজয় রথ শুরু হয়েছিল সেই মেদিনীপুরের মাটিতেই সমূলে নির্মূল করতে হবে তৃণমূলকে।