বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ওনাকে নিয়ে পোস্টার ছাপিয়েছিল ওনার অনুগামীরা। প্রতিটি পোস্টারে লেখা ছিল ‘আমরা দাদার অনুগামী”। এরপর তৃণমূলের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিয়েও কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় দাদার অনুগামীদের পোস্টার দেখা যায়। ফল স্বরুপ কদিন আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
এছাড়াও তৃণমূলের সাংসদ স্বপন মণ্ডলকে নিয়েও পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় ‘আমরা দাদার অনুগামী” লেখা পোস্টার পড়ে। স্বপন মণ্ডলও তৃণমূল ছেড়ে বিজপিতে যোগ দিয়েছেন। এখন আবার নতুন করে দাদার অনুগামীদের পোস্টার দেখা গেল হুগলীর কোন্নগরে। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের ছবি দিয়ে দাদারা অনুগামীদের পোস্টার পড়ে। এরপরেই ওনাকে নিয়ে শুরু হয় জল্পনা।
জানিয়ে রাখি, দিন কয়েক আগে হুগলীর পুরশুড়ায় একটি জনসভা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। সেদিন তিনি মুখ না খুললেও পরের দিন সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ওনাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়েছিল না। আর সেই কারণে তিনি যাননি। তিনি এও বলেন যে, দলের একাংশ আমাকে হারানোর চক্রান্ত করছে।
সেদিন তিনি জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আর তৃণমূলের কোর কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। তবে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন নি তিনি। প্রবীরবাবু বলেন, এলাকায় বিধায়ক না থাকলে মানুষের সমস্যা হবে, মানুষের কথা ভেবেই আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করিনি। তবে সেদিন তিনি এও জানান যে, তিনি দলেই আছেন।
আরেকদিকে আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন্নগরের জায়গায় জায়গায় প্রবীর ঘোষালের নামে আমরা দাদার অনুগামী পোস্টার পড়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এখন সবার প্রশ্ন উনি আদৌ কি তৃণমূলে আছেন? থাকলেও বা আর কদিন? আরেকদিকে, অমিত শাহের বঙ্গ সফরের আগে তৃণমূলের বিধায়ক আর সাংসদদের কালীঘাটে নিজের আবাসে ডেকেছেন। ওনার এই মিটিং ডাকা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেছেন যে, অমিত শাহের বাংলা সফরের আগে তৃণমূল নেত্রী রোল কল করে দেখছেন কে দলে আছে আর কে নেই।