বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার নির্বাচনে তৃণমূলকে বড় জয় এনে দিয়েছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। প্রথম থেকেই তিনি দাবি করে এসেছিলেন যে, বিজেপি ১০০ আসনের গণ্ডি পার করতে পারবে না বাংলায়। আর কোনও ক্রমে বিজেপি যদি ১০০ আসন পেয়ে যায়, তাহলে তিনি নিজের কাজ থেকে অবসর নেবেন। নির্বাচনের সময় প্রশান্ত কিশোরের একটি ক্লাব হাউসের একটি চ্যাট লিক হয়েছিল। যেখানে ওনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, বাংলায় মোদী ঝড় চলছে। যদিও পরে তিনি এও বলেছিলেন যে, যাইহোক বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসছে না, আর ওঁরা ১০০-র গণ্ডি পারও করতে পারবে না। প্রশান্ত কিশোরের সেই কথাই সঠিক হয়ে দাঁড়ায়। আর বিজেপি ৭৫ আসনে আটকে যায়।
বাংলায় বিজেপিকে হারানোর পর এবার দিল্লীর মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদীকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর। আর দিল্লী থেকে বিজেপি সরকার হটাতে পিকে সমস্ত আঞ্চলিক দলকে এক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কদিন আগেই প্রশান্ত কিশোর এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে শরদ পাওয়ারকে প্রেসেন্টেশন দিয়ে প্রশান্ত কিশোর বুঝিয়েছেন যে ২০২৪-এ কীভাবে মোদীকে হারানো যেতে পারে। প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক চলে শরদ পাওয়ার আর প্রশান্ত কিশোরের মধ্যে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পিকে শরদ পাওয়ারকে বলেছেন যে, আঞ্চলিক দলগুলো যদি এক হয়ে যায় তাহলে ২০২৪-র নির্বাচনে বিরোধীরা ৩০০-র বেশি আসন নিয়ে মোদীকে হারানো যাবে।
উল্লেখ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে প্রশান্ত কিশোরের স্ট্রাইকরেট ৯০%-র উপরে। কারণ এখনও পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোর যেই রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলের দায়িত্ব নিয়েছেন, সেখানেই বিজেপি হেরেছে। তবে শুধু উত্তর প্রদেশের ২০১৭-র নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল। সেই সময় তিনি কংগ্রেস-সমাজবাদী জোটের হয়ে নির্বাচনী ঘুঁটি সাজিয়েছিলেন, কিন্তু সেবার বিজেপি উত্তর প্রদেশে অভূতপূর্ব জয় হাসিল করেছিল। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলো যেমন কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদীকে সরাতে তৎপর হয়েছে, তেমনই প্রশান্ত কিশোরও সবাইকে একসঙ্গে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।